ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ফেনীতে প্রস্তুত ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক
ফেনী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। চারটি ইউনিয়ন, বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য ৪৩টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৪টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কাজ করবেন ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
রোববার (২৬ মে ) দুপুরে ফেনী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় একথা জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। সভায় সোনাগাজী উপজেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আবদুর রহমান বলেন, ক্ষতি মোকাবেলায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও চিড়া, মুড়ি, গুড়, চিনিসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখা হয়েছে। স্যানিটেশন ও পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য ৫০ হাজার ট্যাবলেট রয়েছে। খাবারের বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিপদসীমা ও সংকেত অনুযায়ী উপকূল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-০১৭৬৬৫৯৮২৫৯) খোলা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পন কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১৪টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সহকারী পরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, প্রতিটি এলাকায় সিপিপির সদস্যদের সহায়তায় ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে জানমাল ও গবাদিপশুর নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার বিষয়ে বলা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। জেলেদের দুর্যোগকালীন নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলের দিক অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ফেনীর উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে উপকূলে ঝড়ের প্রভাব শুরু হতে পারে।
সাহাব/মাসুদ