বিজয়নগরে পুলিশের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল ভূইয়াকে মারধর করেছে পুলিশ সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় জামাল ভূইয়া বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যানের বাসায় ঘটনাটি ঘটে।

আহত চেয়ারম্যান জামাল ভূইয়া বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামের আব্দুল হক প্রকাশ তাবু ভূইয়ার ছেলে। তিনি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। 

আহত জামাল ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ৮৭৭/২০ সিআর নং ৪২০/১৮ একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় গতকাল রোববার কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছি। জামিন নেওয়ার পর (রিকল) একটি পেপারও নিয়েছি, যেন পুলিশ বুঝতে পারে আমি জামিনে আছি। আজ সোমবার দুপুরে বিজয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) জামিল খান ও এসআই পিযূষ এবং উপজেলার চম্পকনগর পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইনচার্জ রবিউল ইসলাম আমার বাড়িতে আসেন। তারা মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। পরে আমি জিজ্ঞসা করলে বলেন, আমার নামে নাকি ওয়ারেন্ট আছে। গতকাল জামিন নিয়েছি ও জামিনের রিকল দেখানোর পরেও তিন পুলিশ সদস্যসহ সঙ্গে থাকা ১০/১৫ জন পুলিশ অযথা আমার বাড়ি ভাঙচুর করেন এবং আমাকে মারধর করেন। পরে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, দিন-দুপুরে একজন জনপ্রতিনিধির বাড়িতে পুলিশের এমন আচরণে আমার পরিবারের সবাই আতঙ্কে আছেন। আমি এসপির মোবাইলে কল দিয়েছি, তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে সব ছবি পাঠিয়ে বার্তা দিয়েছি। এখন আমার বাড়িতে ডিএসবি পুলিশ এসেছে। 

তিনি জানান, এঘটনায় তিনি বিজয়নগর থানার ওসিসহ তিন পুলিশের বিরুদের মামলা করবেন।

এ বিষয়ে চম্পকনগর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, আপনি (সাংবাদিক) থানার ওসি তদন্ত স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।

বিজয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) জামিল খান বলেন, চেয়ারম্যান ও তার বাবা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। আজ আসামি ধরতে বাসায় গেলে চেয়ারম্যান তার জামিনকৃত পেপার দেখালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার বাবা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে নিয়ে এসেছি। 

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যানের মাথায় পিস্তল ঠেঁকানো, তার বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।