ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

বিকল্প বিদ্যুৎ না থাকায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভোগান্তি

রাজবাড়ী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৮, ২৭ মে ২০২৪   আপডেট: ১৭:৩৯, ২৭ মে ২০২৪
বিকল্প বিদ্যুৎ না থাকায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভোগান্তি

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকলে তৈরি হয় ভূতুড়ে পরিবেশ। পুরো হাসপাতাল থাকে অন্ধকারাচ্ছন্ন। জরুরি বিভাগে মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় চিকিৎসা।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দেখা যায়, একজন হাত কাটা রোগী, একজন মাথা ফাটানো রোগী ও আরেকজন পা কেটে যাওয়া রোগী। তিনজনকে তিনটি বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তিনজনকেই তাদের কাটা স্থানে সেলাই করা হয়েছে মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে। রোগীর স্বজনরা মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে ধরে রাখছেন আর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা প্রদানকারীরা সেলাই করছেন। জেলা সদর হাসপাতালের এমন চিত্র দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। এ ছাড়াও হাসপাতালের পুরো ভবনই দেখা যায় অন্ধকারাচ্ছন্ন। হাসপাতালের ভিতরে মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে সকলকে চলাফেরা করতে দেখা যায়। ভর্তি রোগীদের দেখা যায় মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে দুপুরের খাবার খেতে।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল জব্বার বলেন, আমার তিন দিন আগে কপালে কেটে গেছে। আজকে হাসপাতালে ক্ষত স্থানে ড্রেসিং করানোর জন্য এসেছি। এসে দেখি পুরো হাসপাতাল অন্ধকার। আমার ছেলে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে ধরে রাখে এবং একজন এসে আমার ক্ষত স্থানে ড্রেসিং করলো। একটি জেলা সদর হাসপাতালের এমন চিত্র খুবই দুঃখজনক।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক জরুরি বিভাগে চিকিৎসা প্রদানকারী একজন বলেন, হাসপাতালে অন্ধকার থাকলেও জরুরি রোগীদের তো আমাদের চিকিৎসা দিতেই হবে। এই যে একজন মাথা ফাটানো রোগী আসছে তার তো এখন জরুরি সেলাই দিতেই হবে। আমরা বাধ্য হয়ে মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে কাজ করছি। তবে অন্তত এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রাখা জরুরি।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, হাসপাতালে আইপিএস আছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আইপিএস সাপোর্টে চলে। আজ দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আইপিএস আর চলছে না। তাই এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে।

রবিউল/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়