ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

রেমালের প্রভাব: তলিয়ে গেলো নিঝুম দ্বীপের কাঠের সেতু

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৫, ২৮ মে ২০২৪   আপডেট: ১০:০৯, ২৮ মে ২০২৪
রেমালের প্রভাব: তলিয়ে গেলো নিঝুম দ্বীপের কাঠের সেতু

২০২১ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের ছোয়াখালী ব্রিজ জোয়ারে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা হয় বিকল্প কাঠের সেতু। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তিন বছর পর ঠিক একই দিন ২৬ মে (রোববার) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে যায় কাঠের সেতুটি। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ছোয়াখালী বাজার সংলগ্ন সেতুটি ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থল। নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়কের সেতু হওয়ায় প্রতিদিন কয়েক হাজার বাসিন্দাকে পারাপার হয়ে উপজেলায় যেতে হয়। কিন্তু ৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সংস্কার বা নতুন ব্রিজ নির্মাণ না করায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বিকল্প কাঠের সেতু নির্মাণ করা হলেও প্রায়ই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। ২৬ মে (রোববার) দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে যায় কাঠের সেতুটি। ফলে অসুবিধার মধ্যে পড়েছে এলাকার মানুষজন।

ছোয়াখালী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, ঠিক তিন বছর আগে একই দিনে সেতুটি জোয়ারে তলিয়ে যায়। সাময়িক চলাচলের জন্য ভাঙা সেতুর পাশে একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সেই সেতু দিয়ে প্রতিদিন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো নিঝুম দ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের। রোববার একমাত্র কাঠের সেই সেতুটিও তলিয়ে যায়। এতে নিরুপায় হয়ে নৌকা দিয়ে পার হতে হচ্ছে।

এর আগেও শুনেছি এখানে ব্রিজ হবে কিন্তু এখনও হচ্ছে না। এবার তো কাঠের সেতুটিও গেলো। দুর্যোগ চলে গেলে চলাচলে অনেক সমস্যা হবে বলেও জানান তারা।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দিনাজ উদ্দিন বলেন, নিঝুম দ্বীপ মেঘনা নদী ও সাগরবেষ্ঠীত। এখানে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। ফলে যেকোনো জোয়ারে প্লাবিত হয়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়। রেমারের প্রভাবে নিঝুম দ্বীপের ছোয়াখালী কাঠের সেতুটি ভেঙে গেছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

হাতিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর নতুন ব্রিজের অনুমোদন হয়। তখন ব্রিজের ডিজাইন করা হয়েছিলে। তবে জোয়ারের ফলে খালের ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে ডিজাইন করা হচ্ছে। আশা করি ছোয়াখালী ব্রিজটি খুব দ্রুতই হবে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ চাকমা বলেন, খবরটি পেয়ে সাথে সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

/সুজন/ইমন/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়