ঢাকা     শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩২

গরু মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ২৮ মে ২০২৪  
গরু মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছে কেরানীগঞ্জের খামারিরা। প্রাকৃতিক উপায়ে খড়, ঘাস, খৈল, ভূষি প্রভৃতি খাইয়ে গরু মোটা তাজা করছেন খামারিরা।

খামার মালিক আশিক বলেন, এ বছর আমাদের খামারে ২ হাজার গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। আমাদের খামারে দেশীয় খাবার হিসেবে সবুজ ঘাস, খড়, ভূষি খাইয়ে পশুপালন করা হয়। এখন বাজারে সঠিক দাম পাওয়ার আশায় আছি।

শরীফ এগ্রো ফিডের ম্যানেজার সজীব হাওলাদার বলেন, আমরা দেশীয় পদ্ধতিতে গরু পালন করে থাকি৷ গম, ভুট্টা, খড়, ভূষি ও নিয়ম মাফিক নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয়৷ সারা বছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে গরু বিক্রি করা হয়৷ আমাদের খামারে কোনো মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় না৷ খামারে প্রায় ৭ হাজার গরু আছে৷ যার মধ্যে ৩ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে৷ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সব সময় সহযোগিতা করে থাকে৷ আমরা ক্রেতাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনি খুব সহজে আমাদের খামার থেকে কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারেন৷

আরো পড়ুন:

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কেরানীগঞ্জের প্রত্যকটি খামারে কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত গরু পালন করা হচ্ছে৷ তবে খামারিদের অভিযোগ, বতমান গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি৷ বিশেষ করে ৩৭ কেজি ওজনের এক বস্তা ভূষি ২ হাজার ২০০ টাকা; যা গত বছর ১ হাজার ৭০০ টাকা ছিলো৷ ১ বস্তা খৈলের দাম ৩৫০০ টাকা, ১ বস্তা ধানের কুড়ার দাম ৯০০ টাকা, ১ কেজি খড় এখন ১৫ টাকা। এভাবে দাম বাড়ায় অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে৷ যদি গো-খাদ্যের দাম খামারিদের নাগালের মধ্যে আসে তাহলে আগামীতে আরও অনেক নতুন খামার গড়ে উঠবে৷

খামার মালিক তৌহিদ বলেন, যদি ভারত থেকে গরু না আসে তাহলে আমরা খামার মালিকরা ভালো মূল্য পাবো বলে আশা করছি। আমাদের খামারে আমরা প্রায় ৩০ হাজার গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুনসুর আহমেদ বলেন, কেরানীগঞ্জে এ বছর ব্যক্তি মালিকানায় ও প্রান্তিক খামারিরা মিলে প্রায় ২৫ হাজার গরু দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করছেন। খামারিরা যাতে কোনো প্রকার পাম ট্যাবলেট, স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য আমাদের মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। তাছাড়া ফার্মেসিগুলোতেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। যাতে কোনো ফার্মেসিতে ট্যাবলেট বা ইনজেকশন বিক্রি করতে না পারে।

শিপন/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়