অসহায় সাঞ্জেরা খাতুনের থাকার ঘরটি ভেঙে দিলো ঘূর্ণিঝড় রেমাল
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
রিমেলের তাণ্ডবের দিনে হতদরিদ্র বিধবা নারী সাঞ্জেরা খাতুন (৫৫) এর ঘর ভেঙে পড়েছে। উড়ে গেছে তার একমাত্র ঘরটির চালও। এ অবস্থায় অসহায় দিন কাটছে তার।
সাঞ্জেরা খাতুনের বাড়িটি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান উত্তরপাড়ায়। তার স্বামী মৃত খলিল মৃধা কুষ্টিয়ার মিরপুর বাজারের হোটেলে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সাঞ্জেরা খাতুনও হোটেলে কাজ নেন।
তার এক ছেলে এক মেয়ে থাকলেও তারা বিয়েশাদি করে সংসার গড়েছেন। নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত তারা। মাকে দেখার ফুসরত কোথায়!
সাঞ্জেরা খাতুন বলেন, আমার ছেলে মিয়া কেউ দেকে না। একটা মাত্র ঘর আমার তাও ঝড়ে ভাংয়ি গেল। আমি এখন মিরপুরে হোটেলে কাজ করি খাই। ঘর ভাংয়ি যাওয়ায় আমার আর থাকার জায়গা নাই। কেউ যদি একটু সাহায্য করতো তাহলে আমার ঘরটা ভালো হতো।
স্থানীয় প্রতিবেশি নাঈম খন্দকার নামের এক ব্যক্তি বলেন, স্বামী মারা যাওয়ায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে তাকেও হোটেল শ্রমিকের কাজ বেছে নিতে হয়। এ অবস্থায় খেয়েপরে ভালই দিন যাচ্ছিল তার। ঘূর্ণিঝড় রিমেলে একমাত্র থাকার ঘর ভেঙে যাওয়ায় এখন তিনি দুচোখে অন্ধকার দেখছেন, তাই বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন এই বিধবা অসহায় নারী।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, হতদরিদ্র বিধবা সাঞ্জেরা খাতুনের ঘর ঝড়ে ভেঙে গেছে। তা মেরামত করা জরুরী। তার ঘর মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাঞ্চন/টিপু