ঢাকা     শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৭ ১৪৩১

ডামুড্যায় হাত-পা বাঁধা কিশোরি উদ্ধার, ধর্ষণের অভিযোগ 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৭, ২ জুন ২০২৪   আপডেট: ১০:২৩, ২ জুন ২০২৪
ডামুড্যায় হাত-পা বাঁধা কিশোরি উদ্ধার, ধর্ষণের অভিযোগ 

শরীয়তপুরের ডামুড্যাতে এক কিশোরিকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার একদিন পর পুলিশ ও স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। বর্তমানে কিশোরিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে ডামুড্যা উপজেলার ছোট সিধলকুড়া এলাকার খোদা বক্স প্যাদার ছেলে ও গোসাইরহাট সরকারি শামসুর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম প্যাদার (১৯) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সম্প্রতি তাদের প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েন হলে অন্তত ২০ দিন আগে সম্পর্ক ছিন্ন করে ওই কিশোরী। এরপর থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় সিয়াম। গত বৃহস্পতিবার কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিয়াম ও তার চার সহযোগী সড়ক থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায়। হাত-মুখ বেঁধে পরিত্যক্ত একটি ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে। এদিকে ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

এদিকে শুক্রবার রাতে সিধলকুড়া কাঠের ব্রিজ এলাকায় ওই কিশোরীকে চোখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শনিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, সিয়ামের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিছুদিন আগে আমাদের সম্পর্কে ভেঙে যায়। আমি কলেজ থেকে ফেরার পথে সিয়াম ও চারজন ছেলে আমাকে জোর করে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। তারা আমার সাথে সবাই খারাপ কাজ করেছে। আমি সবার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে নিখোঁজ হলে আমি পুলিশকে বিষয়টি জানাই। রাতে বাড়ি ফেরার পথে জানতে পারি আমার মেয়ে হাত-পা আর চোখ বাঁধা অবস্থায় সিধলকুড়া ব্রিজে পড়ে আছে। পরে আমিসহ পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। যারা আমার মেয়ের সাথে এমন করেছে তাদের সবার উপযুক্ত বিচার চাই। যাতে অন্য কোনো বাবার সন্তানের সাথে এমন ঘটনা না ঘটে। 

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিতু আক্তার বলেন, ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে এক কিশোরীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিলো। এটি ধর্ষণ কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলামত সংগ্রহ ও ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। ফলাফল আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত সিয়াম প্যাদার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনের নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। 

জানতে চাইলে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক কিশোরীকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

আকাশ/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়