ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

লকারের স্বর্ণ গায়েব

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ২ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৬:২০, ২ জুন ২০২৪
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার এক গ্রাহকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার উধাও হয়ে যাওয়ার পর গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রোববার (২ জুন) সকাল থেকে নগরীর চকবাজার এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সকাল ১০টা থেকে স্বাভাবিক লেনদেন শুরু হলেও ১০টার পর ভিড় বাড়তে থাকে লকার গ্রাহকদের। একের পর এক গ্রাহক এসে নিজেদের লকার এবং লকারে থাকা স্বর্ণ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ঠিক আছে কি-না দেখতে চান। ব্যাংকের আনুষ্ঠানিকতা বজায় রেখে একের পর এক গ্রাহক লকার রুমে ঢুকছেন এবং লকার খুলে সবকিছু চেক করে বের হয়ে আসছেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েব

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী ব্যাংকের একজন লকার গ্রাহক রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা সত্যিকার অর্থেই আতঙ্কিত। সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এই শাখার লকার থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার উধাও হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ব্যাংকে ছুটে এসেছি। এখানকার লকারে আমারও মূল্যবান স্বর্ণ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখা আছে। চেক করে আমার জিনিস লকারে ঠিক পাওয়া গেলেও আমাদের আতঙ্ক কাটেনি। আমরা সত্যিই ভয়ে আছি।

অপর একজন নারী গ্রাহক রাইজিংবিডিকে বলেন, ব্যাংকের লকার নিরাপদ মনে করেই আমরা আমাদের স্বর্ণালংকার ব্যাংকের লকারে রাখি টাকা খরচ করে। কিন্তু এখান থেকেই যদি আমাদের জিনিস উধাও হয়ে যায় তাহলে আমাদের আর যাওয়ার জায়গা কোথায়।

ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল মওলা গ্রাহকদের আতঙ্ক ও লকার গ্রাহকদের ভিড়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটি অতি দ্রুতই তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে। এ ছাড়া লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা নগরীর চকবাজার থানায় জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

এদিকে লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণ হারানো চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরী সড়কের বিটিআই বেভারলি হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া বারী বলেন, আমার লকার থেকে কিভাবে এতো বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেলো এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। আমরা এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি।

রেজাউল/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়