সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নদ-নদীর পানি কমে যাওয়ায় সিলেট শহরের পানিও নেমে যাচ্ছে
সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তিন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবারের (১ জুন) তুলনায় কমেছে। পানি নামতে শুরু করেছে ভারত-সীমান্তবর্তী উপজেলায়গুলো থেকেও।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গত দুই দিন ধরে সিলেটে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি, ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাত কমে এসেছে। ফলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জির বৃষ্টির উপর সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করছে। কারণ, ভারতের পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এ জন্য চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কম হলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, সিলেটে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসা এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কম হওয়ার প্রভাব সিলেটের নদ-নদীতে পড়েছে। এতে পানির স্তর নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে, সিলেট পয়েন্ট, কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি রোববারও (২ জুন) বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সবকটা পয়েন্টে গত দিনের তুলনায় পানি কমেছে।
নদ-নদীর পানি কমে আসায় সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা। তারা জানান, শনিবার (১ জুন) রাতে হালকা বৃষ্টি হলেও এর প্রভাব পড়েনি। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। পানি কিছুটা নামতে শুরু করেছে। আবার কিছু এলাকায় পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবতীর্ উপজেলাগুলোতে এখনও কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে বাড়ি ফিরেছেন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন জানান, জেলায় ১৩টি উপজেলায় ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে। এর মধ্যে রোববার সকাল ১০টার হিসাব অনুযায়ী ১ হাজার ৮০৬ জন অবস্থান করছিল। এর আগে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
নুর/বকুল