ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মায়ের সঙ্গে খুন: এখনও শিশু রাফির কাটা মাথার খোঁজ মেলেনি

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ৩ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৫:২৩, ৩ জুন ২০২৪
মায়ের সঙ্গে খুন: এখনও শিশু রাফির কাটা মাথার খোঁজ মেলেনি

করতোয়ায় চলছে উদ্ধার অভিযান। ইনসেটে আশা মনি ও তার ছেলে আবদুল্লাহ হেল রাফি

বগুড়ায় মায়ের সঙ্গে খুন হওয়া শিশু আবদুল্লাহ হেল রাফির (১১ মাস) কাটা মাথার খোঁজ এখনও মেলেনি। সোমবার (৩ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত মাথা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। শিশুটির মাথা উদ্ধারে করতোয়া নদীতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে ছেলে আবদুল্লাহ হেল রাফি ও স্ত্রী আশা মনিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বামী আজিজুল হক ও তার বাবা হামিদুল হকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহত আশা মনির বাবা আসাদুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার রয়েছেন। এর মধ্যে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।’

‘আজিজুল জানিয়েছেন, রাফির মাথা কেটে করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে এখনও মাথার সন্ধান মেলেনি। নদীতে অভিযান চলছে।’ - যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: হোটেলে নিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

এর আগে, গতকাল বেলা ১২টার দিকে বগুড়া শহরের বনানী এলাকার শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে আশা মনি ও তার ছেলে আবদুল্লাহ হেল রাফির গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় রাফির মাথা পাওয়া যায়নি।

আজিজুল হক বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউট গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। আশা মনি নারুলী এলাকার আসাদুল ইসলামের মেয়ে।

আশা মনির স্বজনরা জানান, প্রায় তিন বছর আগে আজিজুলের সঙ্গে আশা মনির বিয়ে হয়। ১১ মাস আগে রাফির জন্মের পর থেকে আশা মনি তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। আজিজুল চট্টগ্রামে চাকরি করেন। তিনি দুই মাস আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল তার।

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন আজিজুল। সেদিন তারা তমা ও মিরাজ পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন। বাড়ি উল্লেখ করা হয় রংপুরের পীরগঞ্জ। পরদিন সকালে সেই হোটেল থেকে আশা মনি ও তার ছেলের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এনাম/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়