ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

মাদারীপুরের মহাসড়ক যেন আবর্জনার ভাগাড়

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৩ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৭:০৭, ৩ জুন ২০২৪
মাদারীপুরের মহাসড়ক যেন আবর্জনার ভাগাড়

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর অংশের তিনটি স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এর ফলে মহাসড়কটির ওই অংশ পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। তীব্র দুর্গন্ধের কারণে এলাকাবাসী ও পথচারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনের চালক এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেছেন, ‘আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে পৌরসভাকে পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়েছে।’ 

মাদারীপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৩৫ টন বর্জ্য বের হয়। বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ফেলার জন্য পৌরসভার নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ভাগাড় বা ডাম্পিং স্টেশন করা সম্ভব হয়নি। তাই কয়েক বছর ধরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়মোহের এলাকায় পৌর মেয়র খালিদ হোসেনের জমিতে আবর্জনা ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

স্থানীয়রা জানান, ২৪ ফুট চওড়া এই মহাসড়কের কিছু জায়গা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষদের নাক-মুখে হাত দিয়ে চেপে এবং নিঃশ্বাস বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে এই সড়কে। আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের বসত বাড়িতে। শুধু মাদারীপুর পৌরসভার ময়লাই নয়, রাজৈর ও কালকিনি পৌরসভার ময়লাও ফেলা হয় এই মহাসড়কে। মাদারীপুরের ৪৮ কিলোমিটার অংশে কমপক্ষে তিনটি স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। 

মস্তফাপুরের বাসিন্দা মিঠু দরজি বলেন, ‌‘দুর্গন্ধের কারণে এখানে থাকাই দায়। নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হয় সড়কে। দুর্গন্ধের কারণে যন্ত্রনা ভোগ করছি। পৌর মেয়রের কাছে আমাদের দাবি, ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে অন্য স্থানে যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়।’

হযরত আলী নামের অপর বাসিন্দা বলেন,‘লোকালয়ে মধ্যে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে আমরা বহু অনুরোধ করেছি। কোনো লাভ হয়নি।’

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ বলেন, ‘মহাসড়কের ময়লা ফেলার কারণে পথচারীদের বিভিন্ন রকমের রোগ হতে পারে। খোলা স্থানে বর্জ্য ফেলার ফলে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে।’ 

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, ‘আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ইতোমধ্যেই পৌরসভারকে ৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়