সম্পত্তির জন্য মাকে হত্যা: ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় সম্পত্তির জন্য মা মমতাজ বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় ছেলে মুন্না বাবুসহ (৩৫) তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৫ জুন) বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- নিহতের দেবর মো. আব্দুল কাদের (৫৫) এবং মুন্নার বন্ধু মো. রাব্বি আলামিন (৩২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে মমতাজ বেগম ওরফে জাগা খাতুন নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। চার দিন পর মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মমতাজ বেগমের ছেলে মুন্না। প্রায় একমাস পর ২৩ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেসময় মুন্না তার মাকে হত্যার কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি তার চাচা আব্দুল কাদের ও বন্ধু রাব্বি আলামিন জড়িত বলে উল্লেখ করেন। গোয়েন্দা পুুলিশ বাকি দুই জনকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়।
আসামিরা স্বীকারোক্তি দেন, কয়েক কোটি টাকার জমি-জায়গা ও পোড়াদহের কাপড় হাটে ৭/৮টি দোকান হাতিয়ে নিতে মমতাজ বেগমের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ একটি পুকুর পাড়ে পুঁতে রাখা হয়। আসামিদের দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মিরপুর থানা পুলিশ নিহত মমতাজ বেগমের বস্তাবান্দি গলিত লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই তোরাব আলী বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল মিরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. কায়েশ মিয়া ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে মমতাজ বেগমকে হত্যা করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কাঞ্চন/মাসুদ