গাইবান্ধায় খাদ্যগুদাম থেকে কোটি টাকার চাল উধাও
গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে কোটি টাকার চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক বাদি হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ মে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান পলাশবাড়ী খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যান। গণনা শেষে তিনি গুদামে সংরক্ষিত ৩ হাজার ১৫ মেট্রিক টন চাল এবং ২শ’ ৬৬ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ১শ’ ৩১ মেট্রিক টন চাল ঘাটতি দেখতে পান। ১শ’ ৩১ মেট্রিক টন চালের সরকারি মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭শ’ ৪৫ টাকা। পরদিন ২১ মে সহকারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাকিব রেজওয়ানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ৪ জুন পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক বাদি হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং পরবর্তীতে তা অভিযোগ আকারে দাখিল করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান জানান, পলাশবাড়ী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর পর তাকে তাৎক্ষণিক সিলেটে বদলি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দুদককেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, 'এ বিষয়ে গত ৪ জুন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যেহেতু সরকারি মালামাল আত্মসাতের বিষয় এ কারণে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলাটি রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।’
মাসুম/ফয়সাল