ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি ১৬ জন 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আয়াশ আহমেদ ইজাজ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে নিহতের বাবা আমিনুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জালাল হোসেন খোকা। আসামির তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছেন হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন মামলা হওয়ার বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাফি আলম (২৮) ও তাঁর বড় ভাই সাগর (৩২), কাউতলীর শাহাদাৎ হোসেন ওরফে সানি (২৮), কলেজপাড়ার অপু (৩০), মামুন (৩৮), মাসুম (৪০), শাহরিয়ার ওরফে লাদেন (২২), রুবেল (২৮), অলি (৩০), রুমান (৩৫), তারেফ (৩০), সৌরভ (৩০), মামুন (২৮), মুরসালিন (২৮)। 

জানা যায়, নিহত ইজাজ কলেজপাড়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনের পক্ষের কর্মী। বুধবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কয়েকশ কর্মী-সমর্থক জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করেন। 

মিছিল নিয়ে তারা খান টাওয়ার এলাকায় আসলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল হোসেন ওরফে খোকার নেতৃত্বে কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে একটি দল আনন্দ মিছিলস্থলে আসে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীদের একজন আনন্দমিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে মিছিলে থাকা আয়াশ আহমেদ ওরফে ইজাজ গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আরিফুজ্জামান তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিলে আনার পথে তার মৃত্যু হয়। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের বাবা আমিনুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।