ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

রুপগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ১৮

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১১, ৭ জুন ২০২৪  
রুপগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ১৮

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মো. দ্বীন ইসলাম (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের আরো অন্তত ১৮ জন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।

নিহত দ্বীন ইসলাম নাওড়া এলাকার মিল্লাত হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন- নাওড়া এলাকার জাহিদ মিয়া, মো. সোহেল, শাহিন, জাহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, রাজীব, হোসেন মিয়া, নাজমুল প্রধান, জেসমিন, ইভা, ওয়াসিম ও সাখাওয়াত। আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমির ব্যবসা ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও মোশাররফ হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। সেই বিরোধের জেরে প্রায় সময়ই দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। 

বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের লোকজন হেলমেট মাথায় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। রাত সাড়ে
সাতটা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এরই মধ্যে উভয় পক্ষের একাধিক লোক গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দ্বীন ইসলাম নিহত হন।

এ বিষয়ে জানতে মোশাররফ হোসেনের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে মোশাররফের ফুফাতো ভাই ও নিহত দ্বীন ইসলামের চাচা নাজমুল প্রধানের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করেই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তিন থেকে চারশো লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোশাররফ হোসেন ও নাজমুল প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায়। মোশাররফের লোকজন হামলায় বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় গুলিতে আহত দ্বীন ইসলাম হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

গুলির সময় পুলিশ হামলাকারীদের বাধা দেয়নি অভিযোগ করে নাজমুল বলেন, মিজান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। হামলার সময় পুলিশ তাকে বাধা দেয়নি। তারা নির্বিকার ছিল। পুলিশের সামনে মিজান নিজে আমার ভাতিজাকে (দ্বীন ইসলাম) গুলি করছে।

তবে মিজান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে মোশাররফের লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এতে মোশাররফের এক লোক নিহত হয়েছে। তিনি গ্রামে না থাকায় ঘটনার বিস্তারিত জানেন না।

রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্ৰ সাহা বলেন, ঘটনার সময় সেখানে নাওড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ছিলেন।
তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। পরে খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা থেকে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অন্তত ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ি। পুলিশ নির্বিকার থাকার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।

রাত ৯ টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, এলাকা এখন শান্ত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

অনিক/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়