ঢাকা     রোববার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩২

ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা

কালিয়াকৈরে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৭ জুন ২০২৪  
কালিয়াকৈরে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাজীপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজে র‌্যাগ ডে’র উৎসব পালনকালে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) সকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলাটি করেন। 

মামলায় কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের সবাই কালিয়াকৈর পৌর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

নিহত আল আমিন কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলার চন্দ্রা এলাকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

আরও পড়ুন: গাজীপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানায়, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা গত বুধবার র‌্যাগ ডে নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে নেতৃত্ব দেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ কামাল ওরফে সোহান। অনুষ্ঠানে গান বাজানো নিয়ে আজাদ কামাল গ্রুপ ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানের গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে পরে দুই  গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমন খান, তার সহযোগী সাকিব হৃদয়, আকাশ ও হাসানসহ ১০-১২ জন শিক্ষার্থী কলেজের মাঠে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ও কামরুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় তারা দুই জন পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তারা কলেজের পশ্চিম পাশে ডাইনকিনি সড়কের শাহ মখদুম মার্কেটের সামনে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান। পৌর ছাত্রলীগ ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আল আমিন ও কামরুলকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করেন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় দুই জনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলা আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এই ঘটনায় নিহত আল আমিনের বাবা মো. মোতালেব হোসেন আজ শুক্রবার সকালে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান। তাদের গ্রেপ্তারে এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে।

রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়