ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

পার্বত্য অঞ্চলে তুলা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ৭ জুন ২০২৪  
পার্বত্য অঞ্চলে তুলা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলায় আপল্যান্ড তামাক চাষের পরিবর্তে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৮.৪৮ হেক্টর জমিতে ২৩.২৪ মেট্রিক টন তুলা উৎপাদন করেছেন চাষিরা। ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। 

শুক্রবার (৭ জুন) বালাঘাটায় পাহাড়ি তুলা গবেষণা কেন্দ্রে দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলা চাষ সম্প্রসারণ শীর্ষক কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন কর্মকর্তা ও চাষিরা।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক পরিচালক ও কৃষিবিদ নাসির উদ্দিন। তিনি তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আগে জুম চাষের সময় সাথী ফসল হিসেবে তুলা চাষ করা হতো। বর্তমান সময়ে আধুনিক পদ্ধতিতে তুলা চাষ করা হচ্ছে। বিশেষ করে পোকা দমন, আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, এমনকি পরিপক্ক তুলা সংগ্রহে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক মেশিন। এখন সমতল ভূমিতে তুলা চাষে সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করা হচ্ছে পরিবেশ সম্মতভাবে। 

লেমুঝিড়ি এলাকার তুলা চাষি মেরী ত্রিপুরা জানান, তিনি দুই সন্তানের মা। ২০১৯ সাল থেকে তুলা চাষ করছেন। ২০ শতক জায়গায় তুলা আবাদ শুরু করেন। চলতি বছর এক একর (একশ শতক) জমিতে তুলা চাষ করেছেন। প্রতিমণ তুলা ৩৯০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সাথী ফসল হিসেবে মিস্টি কুমড়া ও ভুট্টা চাষ করেছেন। ভুট্টাও প্রায় ৩ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। তুলার বীজ, ওষুধ দেওয়া হয়েছে তুলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে। তুলা উৎপাদনে কোনো সমস্যা না হওয়ার কারণে দিন দিন এই ফসল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জামছড়ি এলাকার গসিং অং মারমা বলেন, আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে মাত্র ৩০ শতক জায়গায় তুলা চাষ করেন। ১৫ মণ তুলা পেয়েছেন। প্রতি মণ ৩৮০০ টাকা ধরে বিক্রি করে ৫৭ হাজার টাকা পেয়েছেন। তিনি এবার ৮০ শতক জায়গায় তুলা চাষ করবেন বলে জানান।

বান্দরবান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিবের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আহ্বায়ক সি অং খুমী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম এম শাহ নেয়াজ। অনুষ্ঠানে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা তুলা চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

চাইমং/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়