সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ছবি সংগৃহীত
সুন্দরবনে মধু আহরণ শেষে খাল সাঁতরে ফেরার সময় কুমিরের আক্রমণে মোশারফ গাজী (৪৭) নামে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল খালে তিনি কুমিরের হামলার শিকার হন। পরে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
মারা যাওয়া মোশারফ খুলনার দাকোপ উপজেলার বাসিন্দা আমীর আলী গাজীর ছেলে। তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তিনিসহ আরও তিন জন মধু সংগ্রহে খাল সাঁতরে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ৩ মাস বনজীবী ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাদপাই ফরেষ্ট অফিসের এসও আনিসুর রহমান বলেন, বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে শনিবার বনে প্রবেশ করেন খুলনার দাকোপ উপজেলার ঢাংমারী বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোশারফসহ আরও তিন জন। মধু আহরণ শেষে দুপুর ১টার দিকে তারা সাঁতরে করমজল খাল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কুমিরের আক্রমণের শিকার হন মোশারফ গাজী। সঙ্গে থাকা অন্য মৌয়ালরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় মৌয়াল মোশারফকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় ১ জুন থেকে আগামী তিন মাসের জন্য বন্ধ রয়েছে সুন্দরবনের দুয়ার। এসময় পর্যটক প্রবেশ এবং নদী ও খালে মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সবার জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ খুলে দেওয়া হবে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির দুমার দো বলেছিলেন, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস হচ্ছে মৎস্য প্রজননের জন্য উপযুক্ত মৌসুম। এই সময় সাধারণত সব মাছ খাল ও নদীতে ডিম ছাড়ে। তাই বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আইআরএমপি’র সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ১ জুন থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সব প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও, এই সময়টি সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদেরও প্রজনন মৌসুম। এজন্য সুন্দরবন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শহিদুল/মাসুদ