অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে‌ আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

পাবনার সুজানগরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) সকালে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাদোয়া এলাকায় সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- কাদোয়া গ্রামের তাজু প্রামাণিক (৪৫), আলাউদ্দিন প্রামাণিক (৫০), আলাউদ্দিনের স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৪০) ও ছেলে আশিকুর রহমান শুভ (২১), মাসুম শেখ (৩৪), শরিফুল ইসলাম (৩০), সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও দেলোয়ার হোসেন (৩৫), সলিম প্রামাণিক (৩৫), ইসিম প্রামাণিক (৪০), সুমন প্রমানিক (৩৮), মনির উদ্দিন প্রামাণিক (৬৩) এবং উজ্জল কাজী (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের লোকজনদের দখলে রয়েছে কাদোয়া সিএনজি স্ট্যান্ড। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। এরপর থেকে কাদোয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজ সকাল ৯টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই পক্ষের ২০ আহত হন। এদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে মারামারি হয়নি। স্থানীয় কিছু বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ‌‘এখন সুজানগরে যাই হোক শাহীনুজ্জামান শাহীন আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তিনি একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই আমার লোকজনদের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা করছে ওহাবের লোকজন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকেও হামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবারও মানিকহাটে আমার এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে চেয়ারম্যানের লোকজন। আহত ওই কর্মী এখন রাজশাহীতে ভর্তি। আমি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, শাহীন গ্রুপ ও ওহাব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’