শৈলকুপা থানায় হামলা
কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা পুলিশ হেফাজতে
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত যারা কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন তাদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। আহত ১২ জনকে এখন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আহতরা হলেন, শৈলকুপা থানার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ (৬৩), আলী আকবর (১৭), জান্নাত হোসেন (২৬), মুহিম শিকদার (১৬), রাজিব (১৯), হারুন (৩৫), কুতুব উদ্দিন (২২), আব্দুল ওহাব আলী (৫২), সাব্বির হোসেন (১৭), আলামিন (৩০), আকরাম হোসেন (৩৮) ও আব্দুস সালাম (৬৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহতরা রোববার বিকেলে একের পর এক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসতে থাকেন। আঘাতপ্রাপ্তরা সবাই রক্তাক্ত ছিলেন। ১৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কেউ জরুরি বিভাগে আবার কেউ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। এর কিছু পরই পুলিশ হাসপাতালে এসে তাদের ঘিরে রাখে। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনকে চিকিৎসকরা ঢাকায় পাঠিয়েছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, গুরুতর অবস্থায় ফিরোজ শিকদার নামে গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কতজন ভর্তি হয়েছেন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে শৈলকুপার ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়াগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মোস্তাক সিকদারকে এক মামলায় আটক করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সমর্থকরা শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য ও কমপক্ষে ২০ জন হামলাকারী আহত হন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ জানান, শৈলকুপা থানা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তাদের আটক করা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু এটা অন্যজেলার ঘটনা সেহেতু আহতদের কেউ হামলায় জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাঞ্চন/টিপু