ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

ফরিদপুরে পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর: ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৬, ১০ জুন ২০২৪  
ফরিদপুরে পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর: ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা তমাল এবং সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম রনি

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় সরকারি কাজে বাধা এবং গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপর হামলা, এক কনস্টেবলকে মারপিট ও আহত করার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৯ জুন) বিকেল ৬টার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদরের নাটমন্দির সংলগ্ন স্টেশন রোডে পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের দুই নেতা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা তমাল (৩২) এবং সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম রনি (২৮)। তারা উপজেলা সদরের কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতি রোববার বোয়ালমারীতে হাট বসে। ভাঙাচোরা রাস্তা ও হাটের কারণে নাটমন্দির সংলগ্ন স্টেশন রোডে যানজট ছিল। ওই যানজটের মধ্যে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। তাদের পুলিশের পোশাক পরা ছিল না। ওই গাড়ির পিছনে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা মোটরসাইকেল যাচ্ছিলেন। যানজটের কারণে ডিবির গাড়ি এগুতে পারছিল না। কিন্তু পিছন থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের বহনকারী মোটরসাইকেল থেকে বার বার হর্ন বাজানো হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডিবি পুলিশের গাড়ি থেকে কনস্টেবল নেমে যানজটের মধ্যে বার বার হর্ন দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা আজেবাজে মন্তব্য করেন। তারা ওই কনস্টেবলকে গালাগালি এবং পরে মারপিট করেন। এতে ওই কনস্টেবল আহত হন।

ডিবি পুলিশের আহত ওই কনস্টেবলের নাম মির্জা গোলাম গাউস। তাকে আহত অবস্থায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রাতে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক হান্নান বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। পরে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেপ্তার বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী বলেন, ‘যানজটের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সভাপতি উপজেলা ছাত্রলীগের যোগ্য অভিভাবক। আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করি। ভুল বোঝাবুঝির এ ঘটনায় মামলা হলে ছাত্রসমাজের কাছে ভুল তথ্য যাবে।’  

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’ দ্রুত বিষয়টি মিটে যাবে বলে তিনি আশা করেন।  

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হান্নান বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মতিন বলেন, পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। 
 

তামিম/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়