ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

বেনজীরের সাভানা রিসোর্টের দায়িত্ব নিলেন রিসিভাররা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১০ জুন ২০২৪   আপডেট: ২১:১৫, ১০ জুন ২০২৪
বেনজীরের সাভানা রিসোর্টের দায়িত্ব নিলেন রিসিভাররা

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম সাবেক আইজিপি বেনজীরের সাভানা পার্ক পরিদর্শন করেছেন

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানায় থাকা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন রিসিভাররা। সোমবার (১০ জুন) সকাল ১১টার দিকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তারা। দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জ অফিসের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদের সরদার  ও গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দীকে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা পার্কের রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। 

এদিকে, আজ দুপুরে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম-এর নেতৃত্বে দুদক এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল সাভানা পার্ক পরিদর্শনে আসেন। প্রতিনিধি দলে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারহানা জাহান উপমা, দুদক গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহসিন উদ্দীনসহ কৃষি ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

পার্ক পরিদর্শন শেষে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আপাতত পার্কটি বন্ধ। খুব তাড়াতাড়ি আদালতের নির্দেশনা নিয়ে পার্ক চালু করা হবে।

এর আগে, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, এই পার্কের আয়-ব্যয়, কৃষি-মৎসসহ সার্বিক বিষয়গুলো দেখভাল করবেন রিসিভাররা। পার্কটি গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে।

গত শনিবার (৮ জুন) সকালে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা প্রশাসন সাভানা পার্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেসময় গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেছিলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পার্কের যাবতীয় কার্যক্রম চলছে। পার্কের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত ও সাইনবোর্ড টাঙানোর পরে দর্শনার্থী প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না।’

প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে আদালতের আদেশে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে, গত ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। গত ২৩ মে তাদের নামীয় ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ কার্যকর করা শুরু হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের আইজি ছিলেন। এর আগে, তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বাদল/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়