ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

রাস্তায় পড়ে থাকা নারী হত্যার রহস্য উদঘাটন

নেত্রকোণা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১০ জুন ২০২৪  
রাস্তায় পড়ে থাকা নারী হত্যার রহস্য উদঘাটন

নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের কাছিয়াকান্দা গ্রামের সড়কে পড়ে থাকা নারীর লাশের পরিচয় ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মারা যাওয়া ওই নারীর নাম মনোয়ারা আক্তার (৩০)। তিনি ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া চৌরাঙ্গীর মোড় এলাকার মনসুর মিয়া স্ত্রী। লাশের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই বছর বয়সী শিশুটির নাম আলিফ। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন। 

হত্যাকাণ্ডের ১৩ দিন পর গতকাল রোববার তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িত অলিউল্লাহ (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জের ডেঙ্গার মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অলিউল্লাহ একই উপজেলার সনউড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।

আরও পড়ুন: সড়কে নারীর মরদেহের পাশ থেকে জীবিত শিশু উদ্ধার

পুলিশ জানায়, নিহত মনোয়ারার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো আব্দুর রাজ্জাক ওরফে কালা মিয়ার। ঘটনার আগের দিন (২৮ মে) দুপুরে কৌশলে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে শিশু আলিফকে নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে কালা মিয়ার সঙ্গে বেরিয়ে আসেন মনোয়ারা। সারাদিন ঘোরাঘুরির পর ময়মনসিংহ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে শামছু মার্কেট আসেন তারা। পরে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে কালা মিয়া ও অলিউল্লাহ মিলে মনোয়ারাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। অলিউল্লাকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা হয়। তারা চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে মনোয়ারা ও শিশু আলিফকে অচেতন করেন। ২৯ মে দিবাগত রাতে কাছিয়াকান্দা গ্রামের রাস্তায় দুজন মিলে মাথায় আঘাত করে মনোয়ারাকে হত্যা করেন। 

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিহত মনোয়ারা আক্তারের পরিচয় কোনভাবেই শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরিচয় শনাক্তের জন্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, লিফলেট বিতরণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। প্রতিবেশী একজন ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত অলিউল্লাহ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেলোয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ