ঢাকা     সোমবার   ০৮ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

৮ লাখ টাকায় মিলবে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’

নড়াইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ১১ জুন ২০২৪  
৮ লাখ টাকায় মিলবে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’

কালো রঙের কারণে ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। এ ষাঁড়টির ওজন প্রায় ২০ মণ। শান্ত স্বভাবের ক্রস ফ্রিজিয়ান শাহিওয়াল জাতের ষাঁড়টি ছাড়া পেলেই রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। এটি বের করতে হলে লাগে ১০-১২ জন লোক। ষাঁড়টির দেখা মিলবে নড়াইল সদর উপজেলার তারাপুর গ্রামে গড়ে উঠা চিত্রা অ্যাগ্রো ফার্মে।

দাবি করা হচ্ছে, পুরো উপজেলায় ব্ল্যাক ডায়মন্ডের চেয়ে বড় গরু আর একটিও নেই। দৈর্ঘ্য ৯ ফুট ও উচ্চতায় ৬ ফুটের এ ষাঁড়টিকে এবার কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন মালিক মিল্টন শিকদার। তিনি এর দাম চাচ্ছেন ৮ লাখ টাকা।

সোমবার (১০ জুন) বিকালে গিয়ে দেখা গেছে, ‘ব্লাক ডায়মন্ড’ নামে এ ষাঁড়টিকে দুই বেলা গোসল করানো হয়। নিয়ম করে তিন বেলা নিজস্ব জমির কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, চিটাগুড়, খৈল, লবণ ও গম ভাঙা খাবার দেয়া হয়। 

খামারের পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহমান বলেন, এখানে অনেক গরুর মধ্যে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ডই’ সবচেয়ে বড়। এটি খুব শান্ত হলেও মাঝে মধ্যে অশান্ত হয়ে যায়। ষাঁড়টি বের করতে গেলে ১০ থেকে ১২ জন লোক প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ টাকার খাবার খায় গরুটি। 

চিত্রা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মিল্টন এইচ শিকদার বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় পড়াশোনা শেষ করে ১৭ বছর মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে উচ্চ বেতনে চাকরি করেছি। লোভনীয় অফারকে প্রত্যাখ্যান করে নিরাপদ খাদ্য জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে স্মার্ট কৃষিতে নিজেকে নিয়োজিত করেছি। 

তিনি বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যশোরের সাতমাইল হাট থেকে ষাঁড়টি কিনে আনি। তখন এর ওজন ছিল ৪০০ কেজির মতো। 

নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উপজেলার তারাপুরে চিত্রা অ্যাগ্রো খামারটিতে অনেক বড় একটি গরু রয়েছে। শুরু থেকেই খামারটির বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে খামারিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েও সহায়তা করা হয়। 

উল্লেখ্য, নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার তথ্য মতে, জেলায় খামারি রয়েছেন ৪ হাজার ৪৭৮ জন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গবাদি পশু মোটা তাজা করেছেন মোট ৫৩ হাজার ৬৩৯টি। তার মধ্যে ষাঁড় ১৫ হাজার ৩৪৮টি, বলদ ২ হাজার ২৮৮৬, গাভী ৪ হাজার ৭১৫, ছাগল ৩১ হাজার ২৫৫ ও ভেড়া ৩৫টি। জেলায় কোরবানি যোগ্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৮ হাজার ৬৭৬টি। পশু চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত থাকছে ১৪ হাজার ৯৬৩টি। যা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও রফতানি হবে।

শরিফুল/ইমন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়