ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

রংপুর বিভাগে চাহিদার অতিরিক্ত ৯ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত

রংপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১২ জুন ২০২৪  
রংপুর বিভাগে চাহিদার অতিরিক্ত ৯ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রংপুর বিভাগে ১৩ লাখ ১৮ হাজার ১১৭টি পশুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত রয়েছে ২১ লাখ ৫২ হাজার ৩১৯টি। চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে আরও আট লাখের বেশি পশু। 

রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫১টি পশুর চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৪২১টি। কুড়িগ্রামে ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৩৩টি পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫১টি। নীলফামারীতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১০৯টি পশুর চাহিদা রয়েছে। বিপরীতে পশু রয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি। লালমনিরহাটে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৩১টি পশুর চাহিদার বিপরীতে খামারে রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৫০০টি। দিনাজপুরে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৬টি পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩০টি। ঠাকুরগাঁওয়ে ৯১ হাজার ৭৯৫টি পশুর চাহিদা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন খামারে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৬০টি। পঞ্চগড়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৭৮টি পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৩৭১টি। রংপুর জেলায় ২ লাখ ২০ হাজার ৩৪৪টি পশুর চাহিদার বিপরীতে বিভিন্ন খামারে পশু রয়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৮৫টি। 

বিভাগের আট জেলার প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬২ জন খামারির মাধ্যমে পশুগুলো পাওয়া যাবে বলে দাবি বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের। তবে খামারিরা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বাড়তি দামে কোরবানির পশু কিনতে হবে ক্রেতাকে। তবে এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু আসার কোন খবর না মিললেও তবুও যেন আতঙ্ক কাটছে না খামারিদের। তাদের দাবি সীমানাগুলোতে সরকারিভাবে কঠোর নজরদারি বাড়িয়ে ওপারের গরু আসা ঠেকানো নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে। 

এদিকে প্রতি বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক খামারে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়েও চরাঞ্চলে গরু লালনপালন করা হচ্ছে। তবে ঈদের আগে বন্যার আশঙ্কা না থাকায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলার চর এলাকার খামারিরা চিন্তামুক্ত। খাবার ও পশু রাখার স্থানের অভাবে কম দামে বিক্রির তাগিদ অনুভব করছেন না প্রান্তিক খামারিরা। 

রংপুর ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. লতিফুর রহমান মিলন বলেন, পশুখাদ্যসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়া অব্যাহত থাকায় রংপুর বিভাগে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আবার অনেক খামার বন্ধের পথে। যারা আছেন তাদের অনেক সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এবার গরুর মাংসের কেজি ৭০০-৭৫০ টাকার কমে বিক্রি করলে খামারিদের লোকসান হবে। প্রতি বছরই সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন হাটে ভারতীয় গরু আসার আশঙ্কা থাকে। এবারো যদি ব্যাপক হারে ভারতীয় গরু আসে তাহলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি গরুর রোগবালাই বাড়বে। 

রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদে চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত পশু থাকবে আট লাখেরও বেশি। ঈদে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ থেকে সাধারণত উদ্বৃত্ত পশু বিভিন্ন স্থানে যায়। এর মধ্যে রংপুর অন্যতম। হাটগুলোয় যাতে অসুস্থ গরু বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য বিভাগের বিভিন্ন হাটে মেডিকেল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি হাটে আসা কোনো গরু অসুস্থ হলেও চিকিৎসা দেওয়া হবে।

আমিরুল/ইমন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়