নতুন নীড়ে সাফ জয়ী ফুটবলার ইয়ারজানের পরিবার

সাফ অনুর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের নায়ক পঞ্চগড়ের ফুটবলার ইয়ারজানকে সেমি পাকা বাড়ি উপহার দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তার বাড়িতে সুপেয় পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ইয়ারজানের বাবা-মায়ের হাতে ‘ইয়ারজান নীড়’ এর চাবি হস্তান্তর করেছেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম। ঈদের আগেই এমন উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইয়ারজান ও তার পরিবার।

বাড়ি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান, হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর-ই-আলম, ইউপি সদস্য জুলহাস উদ্দীন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি ও স্থানীয় বাসিন্দারা। 

আরও পড়ুন: ঘর পাচ্ছে সাফজয়ী গোলরক্ষক ইয়ারজানের পরিবার

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইয়ারজানের মা রেনু বেগম কৃষি শ্রমিক হিসেবে দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন। বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাপানি রোগী। তিনি কোনো কাজ করতে পারেন না। মায়ের আয় দিয়েই খেয়ে না খেয়ে চলতো চার জনের সংসার। ঘরের অবস্থাও ছিল জরাজীর্ণ। ভাঙাচোরা ঘরে বসবাস করতেন তারা। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়রশিপ জয়ের পর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে নজরে আসে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের। ইতোমধ্যে ইয়ারজানের পরিবারকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে আসার পরদিন ইয়ারজানকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম। সে সময় তিনি ইয়ারজানের পরিবারের জন্য পাকা ল্যাট্রিনসহ দুই কক্ষের পাকা বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমি পাকা ঘর এবং প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াশরুম ও সুপিয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী দলের গোলরক্ষক ইয়ারজানের বাড়িতে উচ্ছ্বাস

ইয়ারজান বলেন, ‘ঈদের আগে আমার জন্য এটি দারুন একটি উপহার। আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার বাবা-মা একদিন পাকা বাড়িতে ঘুমাবে আমি এমনটাই আশা করেছিলাম। আজ জেলা প্রশাসক স্যারের জন্য আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ 

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেয়েছি পঞ্চগড়ের কৃতিসন্তান ইয়ারজান ও তার পরিবার যেন সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে। এজন্য দুই কক্ষের সেমি পাকা ঘর, ওয়াশরুম, টয়লেটসহ সুপিয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: কৃষক মায়ের সন্তান গোলরক্ষক ইয়ারজান