ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ২ লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১০, ১৩ জুন ২০২৪  
কুষ্টিয়ায় ২ লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত

কোরবানির পশুহাটে কুষ্টিয়ার গরুর বাড়তি চাহিদা রয়েছে। আর এ চাহিদার জোগান দিতে এ বছর জেলায় ২ লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার খামারিরা প্রাকৃতিক উপায়ে ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন পালন এবং মোটাতাজা করেছে। তাই লাভের আসায় খামারিরা শেষ মুহূর্তে পশুর পরিচর্যার পাশাপাশি খামারে লালন পালন করা পশুটি বিক্রয়ের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে ইতোমধ্যে বিক্রিও করেছেন। 

গরু পালন কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য। আর এ ঐতিহ্যের প্রসার ঘটাতে এ বছরও জেলায় প্রায় ২০ হাজার খামার ও কৃষকের বাড়িতে ২ লক্ষাধিক গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছে প্রায় অর্ধলাখ পশু, যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার হরিনারায়নপুর এলাকার বড় খামারি সাইফুল ইসলাম ও দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিকপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি রানা হোসেনসহ বিভিন্ন খামারি ও পশু পালনকারী কৃষকরা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই বাড়তি দামে পশু বিক্রয় করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে, হারাতে হবে পুঁজি। আবার পশু খামারে কাজ অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দিন-রাত পরিচর্যা করে কোরবানির পশুর হাটে পশুগুলো তুলতে শেষ মুহূর্তে তাদের ব্যস্ততার শেষ নেই। তবে কোনও ক্ষতিকর ও ভেজাল খাদ্য ছাড়া দেশীয় খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ছোট বড় বা ক্ষুদ্র খামারিরা পশু পালন করে থাকেন। দিন-রাত পরিশ্রম ও পরম যত্নে লালন পালন করা পশুটি বিক্রয়ে লোকসান হলে পরবর্তীতে পশু পালনে আগ্রহ হারাবেন, এমনটি জানিয়েছেন খামারিরা।

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আল মামুন হোসেন মণ্ডল বলেন, গবাদি পশু পালনে জেলার খামারিদের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

কাঞ্চন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়