ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

টুং টাং শব্দে মুখরিত হিলির কামার পল্লী

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৪ জুন ২০২৪  
টুং টাং শব্দে মুখরিত হিলির কামার পল্লী

আর মাত্র দুইদিন পর ঈদুল আজহা। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে তাই দিনাজপুরের হিলির কামার পাড়ায় বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততা। শুরু হয়েছে টুং টাং শব্দ। নতুন নতুন দা, ছুরি, বটির পাশাপাশি কোরবানির পশু কাটাকাটিতে ব্যবহৃত পুরাতন ছুরি-বটি মেরামতের কাজও চলছে দিনরাত। 

তবে, হিলির কামার পাড়ায় খুশির চেয়ে উদ্বেগই যেনো জায়গা দখল করেছে। কয়লা সঙ্কট আর লোহা-ইস্পাতের দাম বেড়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ছাপ পড়েছে এ পেশায় জড়িতদের। 

কামার দিপু রায় বলেন, কয়লার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে বেড়েছে দা-বটি বানানোর লোহা আর ইস্পাতের দাম। ফলে এখন কাজ করে আগের মতো লাভ হচ্ছে না। আগে হোটেল, বাসা-বাড়ি থেকে কয়লা সংগ্রহ করা হতো। এখন হোটেল বা বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহার হয়। কয়লা পাওয়া তাই দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। 

তিনি আরও বলেন, বেশি দামে কয়লা কিনতে হচ্ছে। গত বছর এক টিন কয়লা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে কিনেছিলাম। এবার তা কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এছাড়াও গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি। মাংস কাটার দা আমরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। যা গত বছরও ছিলো ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বড় চাকু ছিলো ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এখন তার দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আগের বছর বটি ২০০ টাকায় বিক্রি করলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। 

হিলি বাজারের গোডাউন মোড়ের কামার শ্রী কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তেমন অর্ডার পাচ্ছি না। কাচা লোহা দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। তাই কোরবানির সরঞ্জাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

আব্দুল রাজ্জাক নামের এক ক্রেতা বলেন, এ বছর দা, বটি, চাকুর দাম অনেক বেশি। কোরবানির পশু কিনেছি। তাই দাম বেশি হলেও সরঞ্জাম কিনতে হবে। হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম আবার কমে আসবে। 

মনোয়ার হোসেন নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় কামাররা সবকিছুর দাম বেশি চাচ্ছেন। তাই নতুন কেনার বদলে গত বছরের বানানো দা, বটি আর চাকু ধার করতে নিয়ে এসেছি।

মোসলেম/ইমন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়