ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৩ ১৪৩১

সুরমার পানি উপচে ডুবছে সুনামগঞ্জ শহর

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ১৮ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৫:০২, ১৮ জুন ২০২৪
সুরমার পানি উপচে ডুবছে সুনামগঞ্জ শহর

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তঘেঁষা জেলা সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবেশ করছে মূল শহরে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সরেজমিনে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীননগর, নতুনপাড়া, হাছননগর, শহীদ আবুল হোসেন রোড, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া, কাজির পয়েন্ট, ষোলঘর, সবজি বাজার, শান্তিবাগ, বাঁধনপাড়াসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে হাঁটু সমান পানি দেখা যায়। শহরে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জের পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ১৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শহরের নবীনগরের দোকানি তায়েফ রহমান বলেন, ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে দোকানে আসছি। নদীর পানিতে সড়ক ডুবে দোকানে পানি প্রবেশ করেছে। তাই ছোট ভাইকে নিয়ে দোকানের নিচের অংশের মালামাল বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।

ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা মোহাম্মদ ফয়েজ মির্জা বলেন, অফিস থেকে এবার মাত্র তিনদিনের ছুটি পেয়েছি। আজ দুই নম্বর দিন। চেয়েছিলাম আজকেও থাকব। কিন্তু শহরে যেভাবে পানি বাড়ছে, এখনই যদি সুনামগঞ্জ ত্যাগ না করি তাহলে বন্যার পানিতে আটকা পড়তে পারি।

শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা ঝর্ণা বেগম বলেন, বন্যার আতঙ্কে ছিলাম। অবশেষে সেটাই সত্যি হলো। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেল। পরিবার নিয়ে আনন্দের সময়ে বন্যা আসল।

শহর ছাড়াও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর ,ধর্মপাশা, জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট। এসব উপজেলার শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা সড়ক ডুবে জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ভারতে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও সুনামগঞ্জের ভারী বর্ষণের ফলে জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোববার মধ্যরাত থেকে সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, চলতি, চেলা, খাসিয়ামারা নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীর পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে।

মনোয়ার/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়