শেরপুরে নদীর পানি বেড়েছে, বন্যার আশঙ্কা
শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![শেরপুরে নদীর পানি বেড়েছে, বন্যার আশঙ্কা শেরপুরে নদীর পানি বেড়েছে, বন্যার আশঙ্কা](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024June/5858-2406191221.jpg)
শেরপুর নদীর পানি আরও বাড়লে তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে
কয়েক দিনের টাকা বৃষ্টিতে শেরপুর জেলার মহারশী, সোমেশ্বরী, ভোগাই, চেল্লাখালী, মৃগী ও পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদীর পানি বেড়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, এখনও এসব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
চলমান বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার ভারত সীমান্তর্তী শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলার গুরুত্বপূর্ণ চারটি পয়েন্টের মধ্যে তিনটিতে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে এবং একটি পয়েন্টে উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোগাই নদীর নাকুগাও পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের শেরপুর ব্রিজ পয়েন্টে ৫২৬ সেন্টিমিটার, ভোগাই নদীর নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ২১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং চেল্লাখালী নদীর বাতকুচি পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর কাঁচা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অরক্ষিত এই বাঁধ ভেঙে উপজেলা সদর বাজারসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৃগী নদীর পানি বাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় কলা চাষি ও মাছ চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় জমিতে উঠতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেরপুর জেলায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে শেরপুরসহ আশপাশের এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তারিকুল/বকুল
আরো পড়ুন