জামালপুরে সড়ক ভবনে সেতু ইজারার দরপত্র ছিনতাই
শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
শেরপুর থেকে জামালপুর যাওয়ার সড়কে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত শেরপুর-জামালপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায়ের জন্য জমাকৃত দরপত্র ছিনতাই করেছে একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার (২০) জুন দুপুরে জামালপুরের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তৃতীয় তলায় সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেনের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সড়ক সার্কেল) সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন, অফিস সহকারী লক্ষ্মী রাণী লাঞ্ছিত ও আহত হন।
এটা একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে দাবি করেছেন ছিনতাই হওয়া দরপত্রের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অর্ণব ব্রিকস’র প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা। এ ঘটনায় জামালপুর সড়ক সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জুলাই হতে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৫ দিনের জন্য সেতুটির টোল আদায়ের দরপত্র আহ্বান করে শেরপুর সড়ক বিভাগ। দরপত্রটি চলতি মাসের ১১ তারিখে আহ্বান করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সময় ছিলো। একজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই একদল লোক গিয়ে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সড়ক সার্কেল) জামালপুরের সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, ‘১২টা ২০ মিনিটে একটি সিডিউল ড্রপ হয়। সাড়ে ১২টার পর টেন্ডার বাক্স খুলে দরপত্রটি আমার রুমে নিয়ে আসা হয়। দরপত্রটিতে স্মারক নম্বর দেওয়ার সময় ৬/৭ জন দুর্বৃত্ত এসে অতর্কিত হামলা করে দরপত্রটি ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা আমাকে ও অফিস সহকারী লক্ষ্মী রাণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।’
শেরপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেওয়া দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য কয়েকটি স্থান দেওয়া হয়েছে। তবে জামালপুরে ‘দুর্বৃত্তরা এসে অফিসের স্টাফদের লাঞ্ছিত করে দরপত্র ছিনতাই করেছে এমন ঘটনা আমরা অবগত হয়েছি। এই ঘটনায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত অর্থ বছরে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকায় শেরপুর-জামালপুর-বনগাঁও ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায়ের ইজারা নেন মেসার্স রাব্বি নুর ট্রেডার্স।
তারিকুল/ফয়সাল