ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৯ ১৪৩১

মজুতদারের যাবজ্জীবনের বিধান রেখে আইন হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২০ জুন ২০২৪   আপডেট: ২২:৪৯, ২০ জুন ২০২৪
মজুতদারের যাবজ্জীবনের বিধান রেখে আইন হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কেউ যাতে অতিরিক্ত মজুদ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে না পারে, সেজন্য মজুতদারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (সংস্কার কাজ) শেষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আশুগঞ্জ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আশুগঞ্জের এই সাইলো নতুন করে গড়তে খরচ হতো ৭০০-৮০০ কোটি টাকা। এটি আধুনিকায়নে খরচ হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। এতে ১০০ বছরেও এই সাইলোর কিছু হবে না। 

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘সাইলোর মতো খাদ্য ভাণ্ডার ছিল বলেই, সেগুলো সঠিকভাবে চালানো গিয়েছে বলে, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বড় সমস্যা অতিক্রম করতে পেরেছি। বড় বড় সংস্থাগুলো বলেছিল বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে। আর সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও ছিল। কিন্তু আমরা জনগণকে বুঝতে দেইনি। আমরা জানি পেট ঠাণ্ডা থাকলে মাথা ঠাণ্ডা থাকবে। আর সেই পেট ঠাণ্ডা রাখার ব্যবস্থাটা করে রাখা হয়েছিল।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশে যখন ৭ কোটি মানুষ ছিল, তখন অনেকে বাসি ভাত খেয়ে জীবন পার করেছে। গন্ধযুক্ত আটার রুটি খেয়েছে। কিন্তু এখন ধনীরা রুটি খায়, আর গরিবেরা তিন বেলা ভাত খায়। ধনীরা রুটি খায় ডায়াবেটিসের ভয়ে, আর গরিবেরা ভাত খায় শক্তির জন্য। তবে দুঃখের বিষয় সেই চাউলের পুষ্টি রাখা হচ্ছে না। চাউলকে পলিস করে করে পুষ্টি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে থেকেও আমাদের ফিরে আসতে হবে।’  

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন খাদ্যের কমতি নেই। তবে খাদ্যের পুষ্টির সমস্যা আছে। নিরাপদ খাদ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই খাদ্যে যেন কেউ ভেজাল না দেয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল-মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইলোর অধিক্ষক সিরাজুস সালেকিন।

প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গম সংরক্ষণের জন্য ৫০ হাজার মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (সংস্কার কাজ) করা হয়।

রুবেল/বকুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়