ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

ফেনীতে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা

ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৫, ২৩ জুন ২০২৪   আপডেট: ১০:১৭, ২৩ জুন ২০২৪
ফেনীতে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা

ফেনীতে খেলার মাঠ নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২২ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে ফেনীর সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের রানীরহাট বাজার সংলগ্ন আল আমিন একাডেমি স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো.সুমন (২৩) পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তিনি কাজীরবাগ ইউনিয়নের অশ্বদীয়া গ্রামের মো.বশীর আহাম্মদের ছেলে। সুমন পরিবারের সাথে স্থানীয় গিনাগাজী ভূঞা বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালে সুমনের মরদেহ নিয়ে আসা জামশেদ, আকাশ, রেদোয়ান ও সুমন নামে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। 

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে রানীরহাট বাজারে আড্ডা দিচ্ছিল সুমন। গত কয়েকদিন আগের বিরোধকে কেন্দ্র করে সুমনের সাথে কয়েকজন যুবকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে কয়েকজন যুবক তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেন। 

নিহতের ভাই মো. সোহেল বলেন, আমার ভাই পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। কাজ শেষে সন্ধ্যায় রানীর হাট বাজারে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল সে। ১০টার দিকে স্থানীয় ফারুক নামের এক বড় ভাই আমাকে ফোন করে বলে তোর ভাই এখানে পোলাপানের সাথে মারামারি করতেছে। আমি ছাড়াই দিছি তারপরও সে কথা শুনতেছে না। এরপর শুনি মারামারি করার সময় ছুরিকাঘাত তার মৃত্যু হয়েছে। 

খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, গত ২/৩ দিন আগে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাথে সুমনের ঝামেলা হয়। পরে স্থানীয় এক নেতার হস্তক্ষেপে সে ঝামেলা মিটমাট হয়। ওই ঘটনার রেশ ধরেই আজ তাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি। 

কাজীরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ বলেন, রানীহাট বাজারে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার খবর শুনেই হাসপাতালে ছুটে এসেছি। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কোন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে পারিনি। তবে পরিবারের লোকজন বলছে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটতে পারে। যারাই এমন নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। 

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে ৪ জন যুবক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। যুবকের পিঠে ছুরি ঢুকানো ছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করে মর্গে প্রেরণ করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনয়নকারীদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানা গেছে। 

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এখনও হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।  পুলিশের একাধিক টিম রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। যুবকের মরদেহ হাসপাতালে আনা যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, যদিও তারা ভিকটিম পক্ষের লোক বলে দাবি করছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। 

সাহাব/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়