ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পুরস্কার পেতে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাজির কৃষক

ফরিদপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ২৩ জুন ২০২৪  
পুরস্কার পেতে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাজির কৃষক

জীবন্ত রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে আসলেন রেজাউল খান (৩২) নামে এক কৃষক। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সামনে জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপটি দেখান তিনি। 

রেজাউল খান সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।

এ ঘটনায় রেজাউল খান জানান, শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় রাসেলস ভাইপার সাপটি দেখতে পান। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটিকে একটি অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে ফেলেন। এ সময় প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দেন। দুই দিন আগেও তিনি একটি রাসেলস ভাইপার সাপ মেরেছেন। স্থানীয় মুরব্বীদের কাছে জেনেছেন, জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের নেতারা পুরস্কার দেবেন। সে জন্যই মূলত জীবিত ধরেছেন। 

এ সময় সাপ বাচ্চা হোক আর পূর্ণবয়স্ক হোক বিষ কিন্তু একই থাকে, সেটা জানেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে রেজাউল বলেন, তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে নিয়েছিলাম। সমস্যা হতো না।

পৌরসভার স্থানীয় ২৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন তনু বলেন, ঘটনা সঠিক। কৃষক রেজাউল খান রাসেলস ভাইপার ধরে নিয়ে আসেন। সে জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের দাবিদার। আমি তাকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে প্রেসক্লাবে এবং পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, বন বিভাগের অনুমতি লাগবে। বনকর্মকর্তারা যদি প্রমাণ করেন এটা রাসেলস ভাইপার তাহলে পুরস্কার দেওয়া যাবে। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। 

এ ঘটনায় ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, এ ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করাটাইতো অবৈধ। মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা। আমরা এটা প্রমাণ করতে যাবো কেন? ওই কৃষকের উচিৎ হবে যেখান থেকে সাপটি ধরেছে ওই স্থানে ছেড়ে দেওয়া। 

এর আগে গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের এক মিটিংয়ে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আলোচনা হলে, জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ এ সাপ মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হলে একদিন পরেই সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরদিন ২১ জুন এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কেউ যদি এটি জীবিত ধরতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আগের বক্তব্যটি ভুল বুঝাবুঝির কারণে বিকৃত করে প্রকাশ হয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

তামিম/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়