ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

উঠে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সেতুর কার্পেটিং

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১১, ২৩ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৯:২৩, ২৩ জুন ২০২৪
উঠে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সেতুর কার্পেটিং

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর একাধিক স্থানের কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে কোরবানি ঈদের পর কর্মস্থলে ফেরা রংপুর ও লালমনিরহাটের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাথরবাহী ডাম্প ট্রাক ও ভারী যান চলাচলের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর পাশে কয়েকটিস্থানে উঠে গেছে কার্পেটিং। এ কারণে সেতুর একপাশ দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। উঠে যাওয়া কার্পেটিংয়ের স্থানে সতর্কতার চিহ্ন হিসেবে লাল কাপড় টাঙানো হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণের ছয় বছরের মধ্যে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাউনিয়া সেতু ভারী যান চলাচলের জন্য নির্মিত হলেও সেটি ব্যবহার না করে বুড়িমারি স্থলবন্দর থেকে পাথরবাহী ডাম্প ট্রাকগুলো গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু দিয়ে চলাচল শুরু করে। অতিরিক্ত লোডের কারণে সেতুর ওপরের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে বলে দাবি তাদের। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু মেরামত করা না হলে লালমনিরহাটের সঙ্গে রংপুরের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা তাদের।

গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মিটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ‌‘বড় বড় ট্রাক এবং গাড়ি যাতে সেতুতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য উদ্বোধনের সময় মহিপুর-কাকিনা সড়কের সিরাজুল মার্কেট এলাকায় একটি লোহার গোল পোস্ট দেওয়া হয়। কিন্তু, সেটি এখন আর নেই। এরপর থেকে পাথর বোঝাই ট্রাক চলাচল করছে সেতু দিয়ে। যার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনা সেতুর দুই থেকে তিনটি জায়গায় কার্পেটিং অংশ উঠে গেছে। ওই স্থানগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেতুটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠিয়েছি।’

রংপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সড়কটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিলো। ভয়ের কোনো কারণ নেই। যেটা হয়েছে সেটা ফাটল নয়। কার্পেটিং উঠে গেছে, যাকে বলা হয় ‘হেয়ার লাইন ক্র্যাক’। এক্সপার্ট বিষয়টি দেখবে, এরপর স্থানটি সংস্কার করা হবে।’

প্রসঙ্গত, লালমনিরহাটের সঙ্গে রংপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে তিস্তা নদীর ওপর ১২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় শেখ হাসিনা সেতু। ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ফুটপাতসহ ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে রয়েছে ১৬টি পিলার, ১৭টি স্প্যান ও ৮৫টি গার্ডার। তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করেন।

আমিরুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়