ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

কাশিমপুর কারাগারের হিসাবরক্ষক হত্যা, গ্রেপ্তার ২

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৩, ২৩ জুন ২০২৪  
কাশিমপুর কারাগারের হিসাবরক্ষক হত্যা, গ্রেপ্তার ২

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাবরক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খান হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।

রোববার (২৩ জুন) বেলা আড়াইটায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি দু’জন হলেন- মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের আনিস শেখের ছেলে মিস্টার আলী (২৩)। অপরজন একই গ্রামের মো. এখলাছ শেখের ছেলে মো. শাহীন। এরা দু’জন আপন চাচাতো ভাই। পেশায় বাস চালক ও হেলপার। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, আসামি মিস্টার আলী শুকতারা পরিবহন নামে একটি বাসের চালক। আর শাহীন ছিলো হেলপার। এরাসহ আরও তিনজন মিলে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে ডাকাতি করবে বলে পরিকল্পনা করে।

তারা ডাকাতির পরকল্পনা নিয়েই গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যার পরে গাবতলী থেকে যাত্রী উঠায় বাসে। এরপর বাসটি নবীনগর এলাকায় আসলে মো. শহিদুল ইসলাম ওই বাসে ওঠেন মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য। বাসটি মানিকগঞ্জে পৌঁছানোর আগেই অনেক যাত্রী তাদের গন্তব্যে নেমে যায়। এসময় বাসে যাত্রী থাকে মো. শহিদুল ইসলামসহ আরও এক জন। পরে তারা এই দুই যাত্রীর ওপরে হামলা চালিয়ে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।

এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের জাগীর ব্রিজে ওঠার আগে বাস থেকে অজ্ঞাত ওই যাত্রীকে লাথি মেরে ফেলে দেয় এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাবরক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খানকে ব্রিজ ওঠার পরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় বাসে থাকা ওই অজ্ঞাত যাত্রীর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পরিচয় পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, ঈদের দিন সকালে জাগীর ব্রিজের নিচ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাবরক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খানের মৃতদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় মেয়ে মাহিশা মালিহা বিভা হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে (২২ জুন) এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই দুই জনকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মো. শহিদুল ইসলাম খানকে ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে তারা। আসামিদের কাছ থেকে মো. শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনসহ ৩টি ফোন ও ৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাবরক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খানের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ভাজনদাসগাথী এলাকায়। তিনি মানিকগঞ্জ কারাগারে চাকরি করতেন। সে কারণে এই শহরে পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। পরে বদলি হয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তিনি। কিন্তু তার পরিবার মানিকগঞ্জেই থাকত। সে কারণে পরিবারের সাথে ঈদ করতে মানিকগঞ্জে যাচ্ছিলেন তিনি।

চন্দন/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়