ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

ফরিদপুরে নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২৩ জুন ২০২৪  
ফরিদপুরে নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

ফরিদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক গাইনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৩ জুন) শিশুটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্বজনরা জানান, ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা নায়েব আলীর স্ত্রী মুরশিদা বেগমের প্রসব বেদনা ওঠে গতকাল শনিবার। ওইদিন বিকেলে তাকে সৌদি বাংলা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাইনি চিকিৎসক ডা. শিরীন আক্তার অপারেশন করেন মুরশিদা বেগমের। কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মুরশিদা বেগম।নবজাতককে তার বাবার হাতে তুলে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিছু সময় পর তিনি দেখতে পান নবজাতকের নাভির পাশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি। পরে রক্ত বেশি বের হলে  চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে নাভির পাশে কেটে ফেলা অংশে দুইটি সেলাই করে দেন। এরপর শিশুটিকে রাতেই ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় শিশুটিকে। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

নবজাতকের বাবা নায়েব আলী বলেন, ‌‘আমার হাতে সন্তানকে তুলে দেওয়া হয়। কিছু সময় পর দেখতে পাই নাভির পাশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। নাভির পাশে বেশ খানিকটা কাটা। শরীর নীল হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা প্রথমে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। রক্ত বেশি বের হলে চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে নাভির পাশে কেটে ফেলা অংশে দুইটি সেলাই করে দেন।’

আরো পড়ুন:

তিনি আরো বলেন, ‘রাতেই আমি সন্তানকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না। তাই ঢাকায় না নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তানকে ভর্তি করেছি। এটি আমার প্রথম সন্তান। কোনোভাবেই এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছি না।’ 

সৌদি বাংলা হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. শিরীন আক্তার বলেন, ‘অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অপারেশন করার সময় দেখতে পাই, নবজাতকের অবস্থান ঠিক জায়গায় ছিল না। এছাড়া নাড়িও জড়িয়ে ছিল। এ কারণে কিছুটা অংশ কেটে যায়। পরে সেলাই করে দেওয়া হয়।’

সৌদি বাংলা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে শিশুটির খোঁজখবর নিয়েছি। শিশুটিকে সুস্থ করতে যাবতীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই শামীম হাসান বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, শিশুটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. পারভেজ বলেন, ‘শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ৭২ ঘন্টার আগে কিছু বলা যাবে না।’ 

তামিম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়