গণপরিবহনে চাঁদাবাজি, শেরপুরে র্যাবের হাতে আটক ৮
শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ঈদকে উপলক্ষ করে শেরপুরে বিভিন্ন সিএনজি স্টেশনে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও চাঁদাবাজির অপরাধে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (২৩ জুন) রাত ৯ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় র্যাব-১৪, জামালপুর। এর আগে এইদিন দুপুরে অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, ৯টি মোবাইল ফোন, চাঁদা আদায়ের হিসাবের ২টি টালি খাতা ও বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১৪, জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শেরপুর শহরের পূর্ব নবীনগর মহল্লার মজিবুর রহমানের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৩৮), দক্ষিণ নবীনগর মহল্লার মো. আ. সাত্তারের ছেলে মো. আল আমিন (৩৭), মৃত আফছার আলীর ছেলে মো. মানিক মিয়া (৫৫), উত্তর নবীনগর মহল্লার মো. আজিজুল হকের ছেলে মো. আতিকুর হক (৩৯), নবীনগর এলাকার মো. আমিনুল হকের ছেলে মো. আল আমিন সরকার (৩৮), বয়রা পরানপুর এলাকার মৃত নূর ইসলামের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩১), চক পাঠক মহল্লার মো. আজাহার আলীর ছেলে মো. আতাউর কবির ওরফে এনামুল (৩৮) ও সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার মৃত তমির হাজীর ছেলে মো. তারা মিয়া (৪০)।
র্যাব জানায়, সম্প্রতি পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত ও দেশব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। পণ্য পরিবহনের সময় ভুয়া রশিদে পথিমধ্যে চলে এই চাঁদাবাজি। আর এতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করা হয়। ফলে জনদুর্ভোগ নিরসনে সদর দপ্তরের নির্দেশে জামালপুর ও শেরপুরেও চাঁদাবাজির তথ্য উদঘাটন করা হয়। তার অংশ হিসেবে রোববার শেরপুর সদর থানার এমএস সামাদ সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পণ্যবাহী গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশায় চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছে। চক্রটি রাস্তায় ড্রাইভারদের নিকট অবৈধভাবে প্রতিরাতে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তারিকুল/টিপু