ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব হবে না: মন্ত্রী

নওগাঁ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ২৪ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৭:১৭, ২৪ জুন ২০২৪
কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব হবে না: মন্ত্রী

কৃষকরাই দেশের প্রাণ। কৃষিই মূল চালিকা শক্তি। কৃষিতেই আমাদের সমৃদ্ধি। কৃষক বেঁচে থাকলে এদেশে খাদ্যের অভাব হবে না, দুর্ভিক্ষও হবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়ায় ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। এখন স্বল্প সময়ে সীমিত জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে কৃষক।

আরো পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল জাতের সাথে কৃষককে পরিচিত করানো হচ্ছে। কৃষকও সাদরে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল গ্রহণ করছে। ধান উৎপাদন ও ভোগে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও তৃতীয়।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা কৃষকের বন্ধু। কৃষিতে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন তিনি।

সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হলে কৃষিজমি বাড়বে, উৎপাদনও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মডেল হিসেবে অনেক স্থানে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন। ধানের দাম কম বলে অভিযোগ ছিল। সরকার ধানের দাম বাড়িয়েছে।

৩০ টাকার ধানের দাম ৩২ টাকা করেছে সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিনিকেট নামে ধান নাই, চালও নাই। নতুন আইনে বস্তার গায়ে দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় সাত কোটি মানুষ পান্তার পানি খেয়ে দিন পার করেছি। দেশের মানুষ ১৭ কোটি পার হয়ে গেছে, এখন খাদ্যের অভাব নেই। প্রযুক্তি ও কৃষির সমন্বয়ের ফলে গতবছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয় নি, এবছরও আমদানি করতে হবে না।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমতিয়াজ মোর্শেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. আবেদ হোসেন মিলন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. কামরুল হাসান। 

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ মেলায় প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। স্টলগুলোতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রজাতির বিভিন্ন ফসল প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ১২৫০ জন কৃষকের মাঝে উফশী জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। 

এরআগে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

সাজু/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়