ঢাকা     রোববার   ৩০ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৬ ১৪৩১

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ 

বরিশালে ৩ প্রিজাইডিং অফিসার কারাগারে 

বরিশাল সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৯, ২৭ জুন ২০২৪  
বরিশালে ৩ প্রিজাইডিং অফিসার কারাগারে 

গ্রেপ্তার ৩ প্রিজাইডিং অফিসার

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে এক প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আটক এক প্রিজাইডিং ও দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে গৌরনদী উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সাইদুর রহমান বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।  

মামলার বাদী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গৌরনদী বন্দর সোনালি ব্যাংকের ম্যানেজার মো. সাইদুর রহমান, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার গৌরনদী জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ভদ্র এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উত্তর কান্ডপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৯টার দিকে মোবাইলফোন প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীনের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন। বিষয়টি জানার পরে ভোট চলাকালীন বুধবার আমি এবং বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. আলাউদ্দিন, উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অহিদুজ্জামান মুন্সী, কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল কাইয়ুম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের একটি কক্ষে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তখন তারা ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। 

স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্তরা বলেন, মোবাইলফোন প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌরমেয়র মো. হারিছুর রহমান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সী রাতে ভোটকেন্দ্রে এসে বকশিসের কথা বলে তাদের আট হাজার টাকা দিয়েছেন। একপর্যায়ে সেই টাকা বের করে দিলে পুলিশ তা জব্দ করেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তাদের আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, দায়েরকৃত মামলায় আটক ৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারের মধ্যে আরও ৩ জনের নাম রয়েছে। তদন্তে তাদের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাইলফোন প্রতীকের পক্ষে প্রার্থী ও তার উল্লেখিত ওই দুই সহযোগী ভোটগ্রহণের আগের দিন রাতে বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরমধ্যে গেরাকুল বেগম আখতারুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাকা দিতে আসেন হারিছুর রহমানসহ তার সহযোগীরা। তখন দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হলে হারিছুরসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।  

আরিফুর/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়