ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২৮ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৯:৩৪, ২৮ জুন ২০২৪
ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর আলম

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সেবাগ্রহীতারা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

শুক্রবার (২৮ জুন) অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়েও সঠিক সময়ে কাজ না করে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের।

ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগী খেরুদিয়া গ্রামের আবদুর রহমান বকাউলের স্ত্রী আমেনা বেগম লাকী গত সোমবার (২৪ জুন) চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন।

আরো পড়ুন:

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার স্বামীর ৯ শতক জমির খাজনা অনলাইনে দাখিল করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আলমগীর আলম কাজটি নিয়ে টালবাহানা করেন। এই কাজের জন্য ওই কর্মকর্তাকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও সেবা পাননি। পরবর্তীতে গেলে আলমগীর আলম ও অফিসের ঝাড়ুদার তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

এসব কারণে তিনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন। আমেনা বেগম বলেন, এই কর্মকর্তার কাছে সেবার জন্য গেলে সবাইকে হয়রানি করেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, সরকার যে কয় টাকা বেতন দেয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। টাকা না দিলে আমি কোনো কাজ করবো না। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী এবং যারা তার কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন, সবার দাবি তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর আলম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করছে। অভিযোগের আলোকে আমি ও আমেনা বেগম লাকী বক্তব্য দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সেবা নিতে আসা আমেনা বেগম লাকী যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। উনি যখন আমার কাছে সেবা নিতে এসেছেন। আমরা তখন অফিসের নিজস্ব কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আর ওনার কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর নিয়ে সমস্যা ছিল। সেজন্য কাজটি করতে দেরি হয়েছে। তবে আমি ওনার কাজ সম্পন্ন করেছি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগকারী আমেনা বেগম লাকী বলেছেন, তাকে হয়রানি হওয়াসহ নামজারির জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। আর আলমগীর আলম তা অস্বীকার করেছেন। মূল সত্যটা বেরিয়ে না আসায় এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি তাদের বক্তব্যের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাব। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অমরেশ/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়