ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

বুড়িগঙ্গাসহ আশপাশের নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে সাকার ফিস

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৮ জুন ২০২৪  
বুড়িগঙ্গাসহ আশপাশের নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে সাকার ফিস

বুড়িগঙ্গা সয়লাব সাকার ফিসে

সাকার ফিস বা সাকার মাউথ যে নামেই ডাকি না কেন এটা এক ধরনের শোভাবর্ধনকারী অ্যাকুরিয়ামের মাছ৷ পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিস৷ অক্সিজেনের পরিমাণ কম ও মাছবিহীন দূষিত বুড়িগঙ্গা নদীতে এখন সাকার ফিশে সয়লাব।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িগঙ্গার পাড়ে দাঁড়ালেই পানির মধ্যে শত শত সাকার মাছের দেখা মেলে। প্রথমদিকে মাছটি কেউ কেউ বিক্রির উদ্দেশ্যে ধরলেও খাওয়ার উপযোগী না হওয়ায় এখন আর কেউ ধরছে না।

দ্রুত বংশবৃদ্ধি করা এ মাছ পানি ছাড়াও ২৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। শখের বসে অ্যাকুরিয়ামে পালন করা বিদেশি এই মাছ এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে এটি আমাদের দেশিয় প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

বুড়িগঙ্গা নদীর তেল ঘাট এলাকার শ্রমিক মো. ইয়াসিন জানান, গত বছরও শীতের সময় নদীর পানিতে প্রচুর পরিমাণে শিং মাছ পাওয়া যেত। আর এখন অন্য কোনো মাছ চোখে পড়ে না। চারিদিকে শুধু চ্যাকভ্যাগা (সাকার) মাছ।

হাফিজুর নামের এক মাঝি জানান, যে নদীতে বর্ষার স্বচ্ছ পানিতেও মাছ থাকে না, সেখানে এখন চ্যাকভ্যাগা দিয়ে ভরা। আমরা একসময় নদীর পানিতে গোসল করলেও এই মাছের পিঠে বিষাক্ত কাঁটা থাকায় ভয়ে এখন আর কেউ নদীতে নামে না।

স্থানীয়রা এটা চ্যাকভ্যাগা বা কাঁটা মাছ নামে চিনলেও কোথায় থেকে এ মাছ এসেছে তা জানাতে পারেনি কেউ।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, শোভাবর্ধনকারী এ মাছটি হয়তো অ্যাকোরিয়াম থেকে বিভিন্ন জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বুড়িগঙ্গা নদীতে অনেক ময়লা জাতীয় খাবার থাকায় এরা সেখানে দীর্ঘসময় বেঁচে থেকে দ্রুত বংশবিস্তার করছে। এ মাছ অন্যান্য দেশিয় মাছের খাবার খেয়ে থাকে বলে দেশিয় মাছ জলাশয়ে বেঁচে থাকতে পারে না। এদিকে এটি পুকুর কিংবা স্থানীয় জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ায় হুমকির মুখে পড়তে পারে দেশিয় মাছ।

শিপন/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ