সিসিক কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলা, গ্রেপ্তার ৪
সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![সিসিক কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলা, গ্রেপ্তার ৪ সিসিক কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলা, গ্রেপ্তার ৪](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024June/Sylhet-2406281538.jpg)
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসভবনে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এসময় আহত হয়েছেন চারজন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত দেড়টার দিকে নগরীর ভাটাটিকর এলাকার বাসায় হামলা হয়। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার (২৮ জুন) বিভিন্ন সময়ে পুলিশ ৪ আটক গ্রেপ্তার করেছে।
আজাদুর রহমান আজাদের অনুসারীদের দাবি, চাঁদাবাজি-দখলদারির প্রতিবাদ করায় হামলাটি হয়েছে।
আজাদুর রহমান আজাদ সিলেট সিটি করপোরেশনের পাঁচ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সিলেটের আলোচিত ‘টিলাগড় গ্রুপ’ নামের একটি অংশের নেতা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার।
এদিকে, কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলার জেরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ছফু আহমদের বাসায় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছফু আহেমদ নিজেই এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ৫০/৬০ দেশি অস্ত্র নিয়ে তার শাপলাবাগস্থ বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা তার ঘরের জানালার গ্লাস ও বাসার সামনে থাকা গাড়ি ভাংচুর করে।
শাহপরান থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, কাউন্সিলরের বাসায় হামলার ঘটনায় সকাল থেকেই টিলাগড় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। শাপলাবাগে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বাসায় কিছুসংখ্যক লোক জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
কাউন্সিলর আজাদুরের অনুসারীদের অভিযোগ, শেখ নজরুল ইসলাম ওরফে বিজয়, রাব্বী, রিয়াজুল, সুহেল, নাসির, সামাদসহ কয়েকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে আজাদুর রহমান আজাদের পৈতৃক ভিটায় হামলা চালায়। পরে তারা নগরের পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলা চালিয়ে জানালার কাচ ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাতে আজাদুর রহমান আজাদের ঘনিষ্ঠ ও মহানগর যুবলীগের সদস্য শমশের আলীর বাসাতেও হামলা হয়েছে। আজাদুর রহমান আজাদের অনুসারীরা জড়ো হলে তাদের ওপর ইট নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। এসময় আজাদুর রহমান আজাদের ভাইয়ের ছেলে তাহমিদুর রহমান, হীরক রঞ্জন দে পাপলু, ফয়ছল ও মুতাছির আহত হন।
হামলার ঘটনার পর আজ সকালে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় গিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন ‘যারা হামলা করেছেন, তারা চোর-ডাকাত। তারা কোনো গ্রুপের (দল) নন। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি। আজাদুর রহমান আজাদের বাসায়ও আমি গিয়েছি।’
কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘এলাকায় চাঁদাবাজি, হামলা ও দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছে একটি চিহ্নিত মাদকসেবী চক্র। তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল। ক্ষোভ থেকেই তারা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা কররো।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় নজরুল, রাহেল, তারেক আহমদ ও ফুজায়েল নামের চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
নূর/মাসুদ
আরো পড়ুন