ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গিয়ে সংঘাতে পুলিশ-বিবাদি! 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৪, ২৯ জুন ২০২৪   আপডেট: ১০:০৬, ২৯ জুন ২০২৪
১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গিয়ে সংঘাতে পুলিশ-বিবাদি! 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গিয়ে বিবাদির সঙ্গে এএসআইসহ দুই পুলিশ সদস্যের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে কুমারখালী উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন ভালুকা ফকিরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার হওয়া এএসআই মো. নিজাম এবং অন্য পুলিশ সদস্য মো. রাশেদুল ইসলাম উপজেলার পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন। 

অভিযুক্তরা হলেন, পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. রফিকুল আলম (৫০) ও তার ছেলে মো. শাকিল (২০)। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন বাবা-ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মো. শমসের আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে অভিযুক্ত রফিকুল আলমের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এনিয়ে শাহীন আলম কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত নালিশ করেন। আদালত নালিশ আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৬ জুন ১৪৪ ধারা জারি করেন। শুক্রবার রাত পৌণে ৮ টার দিকে এ এস আই মো. নিজাম ও পুলিশ সদস্য রাশেদুল সেই ১৪৪ ধারার নোটিশ প্রদান করতে গেলে বিবাদি রফিকুল ও তার ছেলে শাকিলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সরেজমিন গেলে রফিকুলের স্ত্রী শাহিদা খাতুন জানান, পুলিশ প্রথমে বাদীর বাড়িতে নোটিশ প্রদান করেন। এরপর সেখান থেকে এসে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার ছেলেকে লাথি মারেন ও ধস্তাধস্তি-হাতাহাতি হয়। তার ভাষ্য, তারা পুলিশকে মারেননি শুধু আত্মরক্ষা করেছেন।

চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. বসির উদ্দিন জানান, ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদির ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, এই ঘটনায় আমাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জড়িতদের ধরতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। 

কাঞ্চন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়