মাদারীপুরে মসলার দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে, ক্ষুব্ধ ক্রেতা

মাদারীপুরে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না মসলার বাজার। দাম বাড়তি হওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। এ নিয়ে যেন কোনো মাথাব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের।

রোববার (৩০ জুন) শহরের পুরান বাজারের কাঁচা বাজারের পাইকারি আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, রসুন পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা কেজি, ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, আদার কেজি ২৭০-২৮০ টাকা। এ ছাড়া ধনিয়ার গুঁড়া ৩০০-৩২০ টাকা কেজি, ৪০০ টাকা কেজি হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ৪২০-৪৪০ টাকা কেজি, জিরা ৭০০ টাকা ও এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

যদিও বিক্রেতাদের দাবি, আমদানি কম হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে, তাই দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার কথা জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ক্রেতা শফিকুল ইসলাম মাতুব্বর বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। যে যেভাবে পারছে সে সেভাবে দাম রাখছে। এটা দেখার যেন কেউ নেই।

আরেক ক্রেতা আবু সাঈদ মিয়া বলেন, আয়ের চেয়ে এখন ব্যয় বেশি। মসলার বাজারে তো আগুন, এটি নিয়ন্ত্রণ কে করবে সেটা আমরা জানি না। দাম বেশি হলেও কিনে খেতে হয়।

পাইকারী দোকানদার বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা সামান্য লাভে পাইকারি মসলা ও কাঁচা পণ্য বিক্রি করে থাকি। কিন্তু খুচরা দোকানিরা হয়তো একটু বাড়তি দামে এগুলো বিক্রি করে। এজন্য তো আমরা দায়ী না।

ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর কেনাবেচা কমে গেছে। মালের আমদানি কম হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দোকান ভাড়া ও খরচের টাকাও উঠছে না।

মসলার ব্যবসায়ী বোরহান বেপারী বলেন, অধিকাংশ মসলা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। তাই দাম বাড়তি। আমাদের দেশে উৎপাদিত মসলা সারা বছর থাকে না। আমদানি করতে খরচ বেশি, এজন্য দাম বেড়েছে। এক্ষেত্রে আমরা ক্ষুদ্র দোকানিরা কি করতে পারি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কোনো দোকানি বাড়তি দাম রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।