ঢাকা     মঙ্গলবার   ০২ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৮ ১৪৩১

সওজের দুই নোটিসেও বন্ধ হয়নি ফিলিং স্টেশন নির্মাণ কাজ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ৩০ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৮:৫৬, ৩০ জুন ২০২৪
সওজের দুই নোটিসেও বন্ধ হয়নি ফিলিং স্টেশন নির্মাণ কাজ

সওজ-এর নোটিস পেয়েও ত্রিশালের বাগান এলাকায় ফিলিং স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের দুই দফা নোটিসের পরেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের বাগান এলাকায় মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অচিরেই জমি মেপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা  জানিয়েছে সওজ।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাগান এলাকায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। ফিলিং স্টেশনটি যৌথভাবে নিমার্ণ করছেন নুর হোসেন ও আব্দুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। এ কাজের জন্য তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোনো অনুমতি নেননি। ইতোমধ্যে ফিলিং স্টেশনের ৭০ শতাংশ নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, প্রভাব খাটিয়ে মহাসড়কের পাশে তাদের জায়গা দখল করে ফিলিং স্টেশনটির নিমার্ণ কাজ চলছে। কাজ বন্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে গত ১১ ও ২৬ জুন দুই দফা নোটিস দেওয়া হয়েছে ফিলিং স্টেশনের মালিক পক্ষকে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটি বর্তমানে চার লেন। আমরা জানি, অচিরেই চার লেন সড়ক ১০ লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাছ থেকে সরকার জমিও অধিগ্রহণ করেছে। মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশন যে জায়গায় নিমার্ণ করা হচ্ছে, সেখানকার অর্ধেকেরও বেশি জমি সরকারের হবে। ফিলিং স্টেশনটি নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’  

এবিষয়ে নুর হোসেন ও আব্দুর রশিদ সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

জমির মালিক সোহরাব হোসেনের ছেলে ইলিয়াস আহমেদ বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে আমাদের ৮ একর জমি রয়েছে। বিভিন্ন সময় সরকার প্রয়োজনে তা থেকে অধিগ্রহণ করে। আমরা সবসময় সরকারকে সহযোগিতা করি। মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশন নিমার্ণের জন্য ৬০ শতাংশ জমির মধ্যে আমরা আব্দুর রশিদের কাছে ১২ শতাংশ জমি ভাড়া দিয়েছি। সেখানে তিনি কাজ করছেন। কাজ শুরুর পর থেকে কে বা কারা আমাদের পিছু লেগেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে কাজ বন্ধে দুই দফা চিঠি দিয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো সরকারি জায়গার মধ্যে কোনো স্থাপনা করছি না। শুধু তাদের জায়গা ব্যবহার করে মালামাল আনছি। এতে দোষের কিছু দেখছি না। এখানে ফিলিং স্টেশন হলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।’  

ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি জায়গার মধ্যে মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশন নিমার্ণের অভিযোগ পেয়েছি আমরা। এরই প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করার জন্য তাদের দুই দফা নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারা কাজ বন্ধ করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা ফিলিং স্টেশন নিমার্ণে আমাদের কাছে একটি অসম্পন্ন আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন সংশোধন করে পাঠানোর জন্য তাদের বলা হয়েছে। তারা আবেদন করেই নিমার্ণ কাজ কোনোভাবেই করতে পারেন না। নিমার্ণাধীন ফিলিং স্টেশনে আমাদের কতটুকু জায়গা রয়েছে তা মেপে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে মামলাও করা হবে।’

মিলন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়