ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ আহত ১৫

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ১ জুলাই ২০২৪  
কুষ্টিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ আহত ১৫

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে আব্দালপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুদিয়া গ্রামে হামলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান।

আহতরা হলেন- বিষ্ণুদিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত মনোহর মন্ডলের ছেলে মজনু হক, তার ছোট ভাই বজলুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, বশির আলী, মজনু হকের ছেলে রাশিদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমুল ইসলাম, রফিকুল ইসলামের ছেলে আসিফ, জিয়ার আলীর ছেলে ইদবার ও নিকবার, নজরুলের ছেলে জহুরুল ইসলাম, ইসলামের ছেলে আরমান, জুলমতের ছেলে ঝন্টু, তরিফ আলির ছেলে লাল্টু ও রফিকুলের স্ত্রী আফরোজা খাতুন।

এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে আব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলীর গ্রুপের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজমুল ইসলামের গ্রুপের বিরোধ চলছে। আজ ভোর ৪টার দিকে আরব আলী চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করেন। হামলায় ইউপি সদস্য নাজমুলসহ তার গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে জানতে আব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তারা কল রিসিভ করেননি। 

আহত মজনু হক বলেন, ‌‘জমি সংক্রান্ত বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আরব আলী চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার দুর্বৃত্ত বাহিনীর লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমিসহ ১৫ জন আহত হয়েছি। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

আব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন, ‘বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘প্রায় ১৫ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের শরীরে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কয়েকজনের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়