মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ডুবছে বিস্তীর্ণ জনপদ
ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ডুবছে বিস্তীর্ণ জনপদ মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ডুবছে বিস্তীর্ণ জনপদ](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024June/feni-2407020236.jpg)
ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থানে ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে দুই উপজেলার হাজারও মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ফুলগাজী বাজারে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এতে মালিপাথর, নিলক্ষী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত মালিপাথর, নিলক্ষী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতবছরও এ ভাঙন স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজারে প্রায় দুই ফুটের বেশি পানি উঠে গেছে। দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতপুর থেকে জগতপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। আঞ্চলিক সড়ক প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত এলাকার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, নদীর পানি এখনো বাড়ছে। রাত ১টা পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এখন পর্যন্ত ফুলগাজীর তিনটি ও পরশুরামের একটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশে ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লে বাঁধের আরও কয়েকটি অংশে ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানিতে ফুলগাজী বাজার ও লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান ইউএনও।
নদী ভাঙন এলাকার মানুষদের ধৈর্য্য ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম তার ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপরে। ফুলগাজী উপজেলা সদরসহ অনেক এলাকা পানির নীচে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী ও সচিবকে জানিয়েছি। সরকার থেকে সব ব্যবস্হা নেওয়া হবে। জনগণকে অনুরোধ করছি ধৈর্য সহকারে পরিস্হিতি মোকাবেলার জন্য।
সাহাব/টিপু
আরো পড়ুন