চালক ও হেলপারকে অপহরণ: এসআইসহ ৫ জনের কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পেঁয়াজবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবির মামলায় সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার নাটুয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাইনুল হাসান ও সলঙ্গা থানার এএসআই মতিউর রহমান খানসহ ৫ আসামিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পৃথক দুটি ধারায় চার আসামিকে ২১ বছরের সাজা দেন বিচারক। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এক আসামিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এম. আলী আহমেদ রায় ঘোষণা করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- সলঙ্গা থানার পাটধারী গ্রামের শীতল প্রামানিকের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রনি, হাসানপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে সবুজ আলী ও বাগুন্দা গ্রামের বাহাজ উদ্দিনের ছেলে আনিস ড্রাইভার। এদের মধ্যে সাব্বির আলম ওরফে সবুজ ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাতে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনা মসজিদ বন্দর থেকে ২৫২ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ একটি ট্রাকে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। ট্রাকটির চালক ছিলেন মো. মোরশেদ আলী ও হেলপার রবিউল। ট্রাকটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলঙ্গা থানার সমবায় পেট্রোল পাম্পে এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি ট্রাকটির চালক ও হেলপারকে একটি প্রাইভেটকারে অপহরণ করে নিয়ে যান।
দুই জনকে অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে ট্রাকের মালিকের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অপহরণকারীরা। এঘটনায় ট্রাকের মালিক মজিবুর রহমান সলঙ্গা থানায় নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে কাজীপুর উপজেলার নাটুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাইনুল হাসান, সলঙ্গা থানার এএসআই মতিউর রহমান খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলা চলাকালে ১৫ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারক। সব প্রক্রিয়া শেষে আজ বুধবার আদালত ৩৬৫ ধারায় ৭ বছর ও ৩৯২ ধারায় ১৪ বছর করে আসামিদের কারাদণ্ড দেন। আসামি সাব্বির আলম ওরফে সবুজকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পি পি আব্দুর রহমান এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, ইন্দ্রজিত সাহা, মো. আসিফ আজাদ, মো. জামাল উদ্দিন ও মো. কামরুল হুদা।
অদিত্য/মাসুদ