পোল্ডারেই মরছে নদী!
১২৯টি ছোট বড় নদ-নদী আজ মৃত, অর্ধমৃত বা মৃত প্রায়। ছবি: রাইজিংবিডি
নদী শাসনের নামে অপরিকল্পিতভাবে পোল্ডার নির্মাণের ফলে খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার ১২৯টি ছোট বড় নদ-নদী আজ মৃত, অর্ধমৃত বা মৃত প্রায়। ফলে এসব এলাকার প্রাণ-বৈচিত্র্য তথা প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা।
যার ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও উচ্চ জোয়ারের চাপ সৃষ্ট হওয়ার ফলে উপকূল অতি দুর্যোগ কবলিত এলাকা হিসেবে পরিণত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারলে এই এলাকায় বসবাস করা যাবে- কিনা সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জোরালোভাবে।
জানা গেছে, জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৬০’র দশকে উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ প্রকল্পের আওতায় খুলনা অঞ্চলের বেশিরভাগ নদ-নদীকে পোল্ডারের মধ্যে আবদ্ধ রাখা হয়। ফলে সাময়িকভাবে কিছু উপকার পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদে সৃষ্ট হয় জলাবদ্ধতা। যা ক্রমে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
ডাচ ভাষায় পোল্ডার শব্দের অর্থ হলো ‘সমুদ্র গর্ভ থেকে উদ্ধার করা নীচু জমি’। নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে খাল, বিল, হ্রদ, উপহ্রদ, বালিয়াড়ি নিয়ে গঠিত যে বিস্তীর্ণ নিচু অঞ্চলকে সমুদ্রগর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাকে পোল্ডার ভূমি বা পোল্ডার ল্যান্ড বলে। পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ড বৈজ্ঞানিকভাবে সমুদ্রগর্ভ থেকে জমি উদ্ধার করে নিজস্ব ভূভাগের আয়তন বাড়িয়ে চলেছে।
কয়েকটি পর্যায়ে পোল্ডার ভূমি সৃষ্টি করা হয়। পোল্ডার ভূমি সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো অগভীর জলাভূমি বা সাগরের কিছুটা অংশ মাটি বা কংক্রিটের তৈরি চক্র বাঁধের মাধ্যমে ঘিরে ফেলা হয়। এই চক্র বাঁধের মধ্যে জল নিকাশি চক্রখাল থাকে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সাগর বা জলাভূমির ওই ঘেরা অংশটি পাম্পের সাহায্যে কাদা জল দিয়ে ভরাট করা হয়। জলাভূমির নিচে কাদা বা পলি থিতিয়ে জমে গেলে পাম্পের সাহায্যে ওই দলা ভূমির জল চক্র খালের মাধ্যমে সমুদ্রে ফেলা হয়। এই কাজে উইন্ড মিলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
তৃতীয় পর্যায়ে ভূমিভাগ শুকিয়ে গেলে জমিকে লবণ মুক্ত করার জন্য ৫-৭ বছর ফেলে রাখা হয়। চতুর্থ পর্যায়ে ৫-৭ বছরে প্রথমে জমিতে পশু খাদ্যের চাষ ও পশু পালন করা হয়। তারপর চাষাবাদ করা হয়। এইভাবে পোল্ডার ভূমি গঠনের ১২-১৫ বছর পরে জমি সম্পূর্ণভাবে কৃষির উপযুক্ত হয়ে ওঠে।
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের পোল্ডার এলাকার ‘মৃত নদ-নদী’ নামক একটি গবেষণামূলক প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয়, খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার ১৩টি পোল্ডারের মধ্যে মৃত নদীর সংখ্যা মোট ১২৯টি।
এর মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা সদর, দেবহাটা, আশাশুনি, তালা ও কলারোয়া উপজেলায় ১, ২, ৬-৮, ৬-৮ (সম্প্রসারণ) ও ১৬ নং পোল্ডার অবস্থিত। এ পোল্ডারের প্রধান নদীগুলো হচ্ছে- ইছামতি, সাপমারা, লাবণ্যবতী, মরিচ্চাপ, প্রাণসায়ের, বেতনা ও কপোতাক্ষ নদ।
যশোর জেলা সদর, কেশবপুর, মণিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলায় ২৪নং পোল্ডারের অবস্থান। এ পোল্ডারের প্রধান নদীগুলো হচ্ছে- টেকা-মক্তেশ্বরী, হরি, হরিহর, বুড়ীভদ্রা ও আপার ভদ্রা নদী।
খুলনার ডুমুরিয়া, ফুলতলা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ২৫, ২৭/১, ২৭/২, ১৭/১, ১৭/২, ১৮, ১৯, ২৩ ও ৯নং পোল্ডার অবস্থিত। এ পোল্ডারের প্রধান নদীগুলো হলো- হামকুড়া, আপার শোলমারী, ভদ্রা, তেলিগাতী-ঘ্যাংরাইল, পশ্চিম শালতা, আমতলী, গুয়াচাপা, হাড়িয়া, গুণাখালী, কড়ুলিয়া ও শিবসা নদী।
এই ১৩টি পোল্ডারের মধ্যে ১ নম্বর পোল্ডারে ৮টি অবরুদ্ধ নদী রয়েছে। এগুলো হলো- সাপমারা, ঢ্যাপখালী, দেয়াকুল, শালখালী, লাবণ্যবতী, টিকেট, দাঁড়ার ও ভাড়ুখালী নদী। ২ নম্বর পোল্ডারে পাঁচটি অবরুদ্ধ নদী রয়েছে। এগুলো হলো- কাটাখালী, সোরা, আমোদখালী, সূর্যখালী ও মহেস্বরকাটি নদী।
৬ থেকে ৮ নম্বর পোল্ডারে ২২টি অবরুদ্ধ নদী রয়েছে। এগুলো হলো- শালিখা, তিয়াসা, কামারডাঙ্গি, কুলটিয়া, ধাড়িয়াখালী, হাঁসখালী, নেহালপুরের খাল, পুটিমারী, বালে, বুলু, বেগুনদাড়া, বয়ারটানা, পাকুড়িয়া, হামকুড়া, খেজুরডাঙ্গা, ঢেপুর, মোকামখালী, সুবিদখালী, দোয়ানী, বাওড়ের, মাধবখালী ও ডুমুরিয়া নদ। ৯ নম্বর পোল্ডারে অবরুদ্ধ দুটি নদী হলো- ইন্দুরকাটা ও বসুখালী নদী।
১৬ নম্বর পোল্ডারে ১১টি নদী অবরুদ্ধ রয়েছে। এগুলো হলো- উল্লোখুল্লো, নাসিরপুরের খাল, বাটুলতলা, চেলা, আপার শালতা, ঘোনা, ইসলামকাটি খাল, বগা খাল, নেহালপুর খাল, বাশবাড়িয়া ও গোপালপুরের নদী।
১৭/১ নম্বর পোল্ডারে চারটি নদী অবরুদ্ধ। এগুলো হলো- সুখনদী, হাতিটানা, চিলা ও দোয়ানী নদী। ১৭/২ নম্বর পোল্ডারে চারটি নদী অবরুদ্ধ। এগুলো হলো- আড়ুখালী, আমতলা (তালতলী নদী), শীতলাখালী ও আপার ঘ্যাংরাইল নদী।
১৮ ও ১৯ নম্বর পোল্ডারে তিনটি অবরুদ্ধ নদী রয়েছে। এগুলো হলো- উলুবুনিয়া, বেতাঙ্গী, ও পোদা নদী। ২৩ নম্বর পোল্ডারে পাঁচটি নদী অবরুদ্ধ। এগুলো হলো- খালিয়া, হরিখালী, কুচিয়া, মরা কুচিয়া ও টাটের নদী।
২৪ নম্বর পোল্ডারে ২৪টি নদী অবরুদ্ধ রয়েছে। এগুলো হলো- মুক্তেশ্বরী, শ্রী, টেকা, হরিনা, মরা গাং, ধাপের গাং, গোদা, সুতাখালী, বড় গাং, শোলাকুড়, গজশ্রী নদী, ঘুঘুদহ নদী, বুড়ীভদ্রা, বারমাসে, বলদেঘাটা নদী, পুটিমারী, ভাঙাড়ী, মাদিয়া সাতনল, ডর বুড়ুলীর খাল, পাথরা বিলের সাতনল খাল, কন্দর্পপুরের খাল, খোজা, নেংটাখালী খাল, মমতলা খাল, ঝাপা ও খাজুরার বাওড়।
২৫ নম্বর পোল্ডারে ১২টি অবরুদ্ধ নদী রয়েছে। এগুলো হলো- শ্রী, পুটিবান্দা গুপদিয়া, তেলিরদাঁড়া, সন্ধ্যা নদী, টুঙ্গী, নারায়নখালী, চাঁপাসুন্দরী, হড়হড়িয়া, সিংহের গাঙ, চালোর গাঙ ও পাচুড়িয়া নদী। ২৫ নম্বর পোল্ডারকে বলা হয় বিল ডাকাতিয়া অঞ্চল। এ অঞ্চলে বসবাসকারীরা জলাবদ্ধতার মধ্যে চরম দুর্ভোগে দিনযাপন করেন।
এছাড়া ২৭/১, নম্বর পোল্ডারে ছয়টি অবরুদ্ধ নদী রয়েছে। এগুলো হলো- তুলোখালী গাঙ, দক্ষিণ গাঙ, বাদযাত্রা, মাগুরখালী, সায়েরের নদী এবং মাধবখালী মরা গাং। ২৭/২ নম্বর পোল্ডারে দুটি অবরুদ্ধ নদী হলো- হাতানিয়া, দোয়ানিয়া।
গবেষণামূলক এ প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয়, পোল্ডার পরবর্তী বাইরে নয়টি মৃত নদ-নদী রয়েছে। এগুলো হলো- হামকুড়া নদী, আপার শোলমারী নদী, আপার শালতা নদী, মধ্য ভদ্রা নদী, মধ্য ঘ্যাংরাইল নদী, আমতলী নদী, গুয়াচাপা নদী, বুড়িভদ্রা (বলদেঘাটা নদী) ও প্রাণসায়ের নদী।
এছাড়া পোল্ডার পরবর্তী বাইরে ১১টি আংশিক মৃত নদী রয়েছে। এগুলো হলো- কপোতাক্ষ নদ, হরিহর নদী, বুড়ীভদ্রা নদী, জয়খালী নদী, বাদুরগাছা নদী, হাড়িয়া নদী, শিবসা নদী (পাইকগাছা মুখী), মধ্য কপোতাক্ষ নদ, সাহেব খালী নদী, মরিচ্চাপ নদী ও বেতনা নদী।
কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জীবিত নদ-নদীকে রক্ষা ও অবরুদ্ধ নদীগুলোকে যতটা সম্ভব পুনর্জীবিত করতে না পারলে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই। উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করতে হলে নদী বাঁচানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এ কারণে নদী বাঁচানোকে অত্যাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘পুরনো নদীগুলো বাঁচানো গেলে সেটি খুবই ভালো হবে। ইচ্ছামত নদী-খাল দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। নদীগুলো বাঁচানো গেলে জলাবদ্ধতা থাকবে না, মানুষ স্বস্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পোল্ডার ব্যবস্থার কারণে নদী ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারেনি। যখন পোল্ডার নির্মাণ করা হয়, তখন এলাকার অন্যান্য ভূ-প্রকৃতি এবং পানি ব্যবস্থাপনায় জনগণের অভিজ্ঞতা-এ দুটি বিষয় আদৌ বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। হুবহু নেদারল্যান্ডস-এর পোল্ডার ব্যবস্থা এ দেশে প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ- প্রতিবেশের বিপর্যয় ঘটেছে।
সূত্র জানায়, উপকূল এলাকায় জনগণের পানি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিটা ছিল প্রকৃতির সঙ্গে এক ধরনের সহাবস্থান পদ্ধতি। স্থানীয়রা পলি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বুঝত। সেকারণে পানি ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল পলি ব্যবস্থাপনা। নদী রক্ষা করতে পারলে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
প্রয়োজন পোল্ডার ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস
পোল্ডার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর এলাকায় নতুন এক ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যে এলাকা ছিল লবণাক্ত এলাকা সে এলাকা মিষ্টি পানির এলাকায় পরিণত হয়েছে। নোনা পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়ার কারণে এলাকার রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে। নিচু এলাকাতেও ব্যাপকভাবে বসতি গড়ে তোলা হয়েছে, এক ফসলী জমি দুই ফসলী বা ক্ষেত্র বিশেষ তিন ফসলী জমিতে পরিণত হয়েছে। এখন চাইলে পোল্ডার ব্যবস্থা উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলার জন্য পোল্ডারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
ইতোমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে জোয়ারের উচ্চতা এক ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন ঘন জলোচ্ছ্বাসের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা মোকাবেলা করার জন্য উপকূলীয় বাঁধগুলোও আরও উচ্চ ও মজবুত করা দরকার এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নদ-নদীগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা দরকার।
‘মৃত নদ-নদী’ নামক গবেষণামূলক প্রকাশনায় নদী বাঁচাতে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এগুলো হলো- প্লাবনভূমি বা বিলের মধ্যে জোয়ারাধার বা টিআরএম বাস্তবায়ন, পোল্ডারের মধ্যে অবরুদ্ধ নদীগুলো মুক্ত করা এবং পদ্মাপ্রবাহের সাথে এলাকার সংযোগ প্রদান।
খুলনা অঞ্চলে নদী রক্ষায় বিভিন্ন গবেষণায় সম্পৃক্ত বেসরকারি সংস্থা ‘উত্তরণ’ পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পোল্ডার নির্মাণের পর পানি নিষ্কাশনের জন্য যেসব নদী বাঁচিয়ে রাখা হয়, সেগুলোও একের পর এক মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। এসব নদীর মৃত্যুর মূল কারণ হলো পলি সমস্যা।’
তিনি আরও বলেন, ‘পোল্ডার নির্মাণের আগে জোয়ারে আসা পলি বিলে বা প্লাবন ভূমিতে জমতো। কিন্তু পোল্ডারের কারণে এখন তা নদীর মধ্যেই জমা হয়। আর এ কারণেই নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ক্রমশঃ এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি জলাবদ্ধতা সমস্যা এখন সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় জীবিত নদীগুলোকে রক্ষা করা এবং মৃত নদীগুলোকে যতটা সম্ভব পুনর্জীবিত করা ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবেলার আর কোনো বিকল্প পথ নেই।’
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রয়োজনীয়তার নিরিখেই মানুষ এবং ফসল রক্ষায় পোল্ডার নির্মাণ করা হয়। তবে, ভালো করতে গিয়ে কোথাও কোথাও সমস্যা হতে পারে। তবে শুধুমাত্র পোল্ডারের কারণেই নয়, দখলের কারণেও পানির স্রোতের ফ্লো কমে গেছে, পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে নদ-নদীর নাব্যতাও কমে যাচ্ছে।’
এ অবস্থায় সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্যার উত্তরণ দিয়ে ভাবতে হবে, গবেষণা করতে হবে। বিশেষ করে নদী ও পানি প্রবাহের কোনো ক্ষতি না করে কীভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম করা যায়- সে বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।’
/সনি/